করোনার মধ্যেও সাবেক মন্ত্রীর ছেলের বিয়েতে ১০ হাজার অতিথি!

0

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মালয়েশিয়ায় সাবেক এক মন্ত্রীর ছেলের বিয়েতে ১০ হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন।

বিশেষ করে এই করোনায় যখন সামাজিক দূরত্বের কারণে বিয়ের আয়োজন হচ্ছে অনেকটাই ঘরোয়াভাবে তখন ১০ হাজার অতিথি নিয়ে বিয়ের আয়োজন বিষ্মিত করেছে সবাইকে।  খবর বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে অনেক নবদম্পতির ‘স্বপ্নের অনুষ্ঠান’ যখন ভেস্তে যাচ্ছে তখন মালয়েশিয়ায় ‘ড্রাইভ-থ্রু’ আয়োজন করে নতুন দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করেছেন বর টেঙ্কু মুহাম্মদ হাফিজ ও কনে ওশানে আলাজিয়া। এই নবদম্পতির বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের কাছে পুত্রজায়ার এক বিশাল সরকারি ভবনে।

করোনার সংক্রমণ রোধে দেশটিতে এক সঙ্গে ২০ জনের বেশি একত্রিত হওয়া নিষেধ।  এমন পরিস্থিতিতে গতকাল রবিবার এই দম্পতি ১০ হাজার অতিথিকে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানিয়েছেন বলে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। অনেকের কাছে এটি অবিশ্বাস্য বলে মনে হলেও কিন্তু, তাই হয়েছিল।

রবিবার সকালে নবদম্পতি বসেছিলেন অনুষ্ঠানস্থলে।  অতিথিরা নিজ নিজ গাড়িতে বসেই ধীরে ধীরে তাদেরকে অতিক্রম করে গিয়েছিলেন। গাড়ির জানালা খুলে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে তারা বর-কনেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। মনে হতে পারে এটিতো আর স্বাভাবিক অনুষ্ঠানের মতো হলো না।  কিন্তু, মনে রাখতে হবে এখন পরিস্থিতিও স্বাভাবিক নয়।

বর টেঙ্কু মুহাম্মদ হাফিজের বাবা টেঙ্কু আদনান একজন রাজনীতিবিদ।  তিনি দেশটির সাবেক মন্ত্রী।  বিয়ের দিনটি ছিল হাফিজের জন্মদিনও।  তাই এটি তার কাছে ছিল বিশেষ আনন্দের।  হাফিজের বাবা টেঙ্কু আদনান ফেসবুকে বিয়ের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘শুনেছি আজ সকাল থেকে অনুষ্ঠানে ১০ হাজারের বেশি গাড়ি এসেছিল।’

আরও লিখেছেন, ‘আমি ও আমার পরিবার খুবই সম্মানিত বোধ করছি।  অতিথিদের নিয়ম মেনে চলার জন্যে এবং গাড়ি থেকে না নামার জন্যে ধন্যবাদ জানাই।’ অনুষ্ঠানে ১০ হাজার অতিথির অংশগ্রহণের পুরো প্রক্রিয়াটি তিন ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়েছিল বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও বলা হয়েছে, বিয়ের অনুষ্ঠানটির পরদিনই অর্থাৎ আজ বরের রাজনীতিবিদ বাবাকে দেশটিতে ৫ লাখ ডলারের দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.