চসিক নির্বাচনঃ আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ

সি টি নিউজঃ চসিক নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ বাড়ছে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে। একদিকে কেরোনার ছোবল ও অন্যদিকে দ্বিতীয় দফা প্রচারের খরচ মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রার্থীদের। করোনার প্রভাব থাকায় ভোটারদের ঘরে ঘরে যাওয়া যোমন ঝুঁকিপূর্ণ তেমনি ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ না থাকা প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে পারে।

বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা অফিস খুলেছেন। তবে প্রচারণা শুরু না হওয়াতে আফিসগুলো এখনও জমজমাট হয়ে উঠেনি। বেশীরভাগ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বিপক্ষে আওয়ামী লীগ হওয়াতে ওয়ার্ডের নেতাকর্মীগণ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।

স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, প্রায় সব ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ।এতে করে কোন্দল গ্রুপিং চাঙ্গা হচ্ছে। প্রচারণার ক্ষেত্রে শৃংখলা না থাকলে সংঘর্ষ বা অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ভোটাররা। বেশীরভাগ ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থীর বিপক্ষের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছে। বিদ্রোহীদের অবস্থান বেশীরভাগ ওয়ার্ডে সুসংহত। বিগত ৫ বছরে এলাকার উন্নয়নচিত্র এরা ভোটারদের কাছে তুলে ধরছেন। বিগত ৫ বছর বেশীরভাগ ওয়ার্ডে উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়েছে ব্যাপকভাবে। এই উন্নয়্ন কর্মকান্ডের সাথে কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ততা ছিল। উন্নয়নের কান্ডারী হিসেবে যদি এসব কাউন্সিলরদের ভোটাররা মূল্যায়ন করে তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের জন্য খবর আছে।

সি টি নিউজ/ জু. সি