করোনায়ও চসিকের রাজস্ব আদায়ে গতি

চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে শত কোটি টাকা আদায়

0

সি টি নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)-এর রাজস্ব আদায়ে করোনায়ও দৃশ্যমান প্রভাব পড়েনি। করোনাকালেও গতি ছিল পৌরকর, ট্রেড লাইসেন্সসহ নানা খাতের রাজস্ব আদায়ে। তবে স্পট হোল্ডিং ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদান, ব্যাংক সেক্টর হোল্ডিংসের আওতায় আসা ও কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় রাজস্ব আদায়ে গতি সঞ্চার হয়েছে বলে জানা যায়।

চলতি ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের ছয় মাস শেষে ৯৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা পৌরকর আদায় হয়েছে। যা গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ কোটি ৯১ লাখ ৫৭ হাজার ১৬৭ টাকা বেশি। অর্থ বছরের শুরুতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে জোর দেয়াসহ বিভিন্ন উদ্যোগের কারণেই পৌরকর আদায়ে গতি এসেছে বলে জানিয়েছেন চসিকের রাজস্ব শাখার কর্মকর্তরা। অবশ্য টাকার অংকে পৌরকর আদায়ের পরিমাণ বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেকে পিছিয়ে আছে সংস্থাটি।

আদায় হওয়া পৌরকর লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২৯ শতাংশ। চলতি অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রা আছে ৩৪৮ কোটি ৪০ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকারি হোল্ডিংয়ের বিপরীতে ১৬০ কোটি ৪৯ লাখ ৯৭ হাজার ৩৪৯ টাকা এবং বেসরকারি হোল্ডিংয়ের বিপরীতে ১৮৭ কোটি ৯০ লাখ ৫১ হাজার ৪০১ টাকা ধার্য করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, নগরে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৬৬ টি হোল্ডিং আছে। এর মধ্যে সরকারি এর মধ্যে সরকারি হোল্ডিংয়ের সংখ্যা এক হাজার ৫১৬টি এবং বেসরকারি হোল্ডিং আছে এক লাখ ৯৪ হাজার ২৫০টি। সিটি কর্পোরেশন অ্যাক্ট ২০০৯ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মোট ১৭ শতাংশ পৌরকর আদায় করে থাকে। তার মধ্যে ৭ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাঙ (গৃহকর), ৩ শতাংশ বিদ্যুতায়ন রেইট এবং ৭ শতাংশ আর্বজনা অপসারণ রেইট রয়েছে।

পৌরকর বিষয়ে চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মুফিদুল আলম জানান, করোনারও মধ্যে আদায়ের পরিমাণ তো আগের চেয়ে বেড়েছে। আশা করছি, অর্থ বছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। কাজের গতি আনার জন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বদলী করা হয়েছে। সকল শূন্য পদগুলো পূরণ করেছি।

সি টি নিউজ/জিএস

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.