২-৩দিনের মধ্যেই কামরুলসহ দেশে ফিরছে পুলিশ

0

সিটিনিউজবিডি : আগামী দু’তিনদিনের মধ্যেই ইন্টারপোলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সিলেটে শিশু রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে নিয়ে দেশে ফিরছে পুলিশ। কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের একটি দল এখন সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থান করছে।

সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায়, ইন্টারপোলের মাধ্যমে কামরুলকে ফেরৎ আনার প্রক্রিয়া চলছে। আগামী দু’তিনদিনের মধ্যেই ইন্টারপোলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কামরুলকে নিয়ে দেশে ফিরবে পুলিশের দলটি।

তিন সদস্যের ওই টিমে রয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুল করিম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশানর রহমত উল্লাহ ও বিমানবন্দর থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আ ফ ম নিজাম উদ্দিন।

এর আগে গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

ইন্টারপোলের নিয়ম অনুযায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অপরাধী বিনিময়ের বিধান রয়েছে। তবে, আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষ করার আনুষ্ঠানিকতার কারণেই কামরুলকে হস্তান্তরে দেরি হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।

গত ৮ জুলাই সিলেট নগরীর কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে ভ্যান চুরির অভিযোগে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। রাজনকে পিটিয়ে হত্যার পর সৌদি আরব পালিয়ে গিয়ে গত ১৩ জুলাই আটক হন কামরুল।

এদিকে, ১ অক্টোবর রাজন হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। ৩০ জনের বেশি সাক্ষি রয়েছেন এ মামলায়। রাজন হত্যা মামলায় মোট অভিযুক্ত ১৩ জন। ইতোমধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ১৩ ও ১৪ অক্টোবর এ মামলায় টানা সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে।

গত ২২ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালত।

কামরুল ছাড়া রাজন হত্যা মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মুহিদ আলম, আলী হায়দার, শামীম আহমদ, পাভেল আহমদ, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল, দুলাল আহমদ, নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ ও আয়াজ আলী।

রাজনকে পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ও গণমাধ্যমগুলো বিষয়টি নিয়ে সরব হলে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। এর মধ্যে মুহিদের ভাই সৌদি প্রবাসী কামরুলের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তিনি সৌদি পালিয়ে যান। কিন্তু ১৩ জুলাই সৌদি প্রবাসীরা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.