গ্রেফতার বন্ধ না হলে নির্বাচন অফিসে অবস্থান ঘোষণা: শাহাদাত
সিটি নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, গত সাতদিন ধরে নগরীর বিভিন্ন থানায় ১০টি গায়েবি ও সাজানো মামলা করা হয়েছে। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গ্রেফতার হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার না হলে চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা করা হবে।
সোমবার দুপুরে নগরীর দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে দুপুরে নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডা. শাহাদাত এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, যে মামলাগুলো ২০১৮ সালের নির্বাচনের ঠিক ছয় মাস আগে থেকে দেখেছি। ১৯ জানুয়ারি থেকে প্রতিটি থানায় সে ধরণের ১০টির বেশি মামলা করা হয়েছে। এক হাজারের বেশি আসামি করা হয়েছে। গত রোববার রাত পর্যন্ত ৬৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাদ যাইনি নাগরিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক একরামুল করিম, তার ছেলে এবং মহিলা এবং শিশুরাও।
ডা.শাহাদাত বলেন, সিইসি চট্টগ্রাম এসেছিলেন। ওনার কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য আশা করেছিলাম। আওয়ামী লীগের মধ্যে মারামারিতে তিনজন নিহত হয়েছে, আমাদের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে, প্রচার গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের হয়রানি চলছে- এসব বিষয়ে সিইসি বক্তব্য দেবেন বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু সেরকম কিছু পাইনি।
পুলিশের হয়রানি থেকে মহিলা, শিশুরা পর্যন্ত বাদ যাচ্ছে না উল্লেখ করে ডা. শাহাদাত বলেন, রবিবার রাতে বাকলিয়া থানায় বিএনপি নেত্রী মুন্নি ও তার ১২ বছরের শিশুকে ধরে নিয়ে গেছে। নাগরিক ঐক্য পরিষদের বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিমকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় চকবাজার থানা পুলিশ। সঙ্গে তার ছেলেকেও ধরে নিয়ে যায়। অথচ তার ছেলে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। চট্টগ্রামের নির্বাচন কর্মকর্তাকে আমরা এখন পর্যন্ত ৪০টি অভিযোগ দিয়েছি। এসবের কোনো সমাধান হয়নি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর হেলাল, নাগরিক ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল করিম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান প্রমুখ।
সিটি নিউজ/জিএস