চসিক নির্বাচনে ‘বহিরাগত’ আতঙ্ক ও ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ভোটকেন্দ্র
মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট ও তল্লাশি
নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটি নিউজ : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচন কাল বুধবার নগরীর ৭৩৫ কেন্দ্রে ইভিএম মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত।নগরজুড়ে এখন কঠোর নিরাপত্তা।প্রচার-প্রচারণা শেষের পর কেন্দ্রে কেন্দ্রে চলছে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে কাল চসিক নির্বাচনেই সবার চোখ। গত সোমবার ৭৩৫ কেন্দ্রে হয়েছে মক ভোটিং। নির্বাচন কমিশন মক ভোটিং-এর মাধ্যমে ভোটারদের নতুন এই পদ্ধতিতে ভোটদানের প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের এই আয়োজনে তেমন আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়নি ভোটারদের মাঝে। তবে শেষ মুহূর্তেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ‘বহিরাগত’ আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান দুই দলের প্রার্থীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে ‘বহিরাগতদের’ জড়ো করার অভিযোগ তুলেছেন। আ.লীগের দাবি, বিএনপি-জামায়াত সারা দেশ থেকে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের চট্টগ্রাম শহরে জড়ো করছে। অন্যদিকে বিএনপির অভিযোগ, নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্ট হাউসগুলোতে চট্টগ্রামের আশপাশ এলাকার বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসেছে আওয়ামী লীগ। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারও বলেছেন, চট্টগ্রামে সহিংসতার শঙ্কা ও উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।এদিকে, বহিরাগত ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নগরীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়েছে। মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করা হচ্ছে। এছাড়াও নগরীর চার প্রবেশপথে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই অভিযান চালিয়ে কয়েকজন বহিরাগতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার পর্যন্ত পাঁচদিন আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নির্বাচনি সহিংসতা মোকাবিলায় গত কয়েকদিন ধরে নিয়মিত বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অভিযান পরিচালনা করে আসছে নগর পুলিশ। এবারের চসিক নির্বাচনে প্রচারণা পর্ব থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তাপ ছড়িয়েছে ভোটের মাঠে। আওয়ামী লীগের দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থী ও বিদ্রোহীদের দ্বন্দ্বে প্রাণ হারিয়েছেন দুজন আওয়ামী লীগ নেতা। নির্বাচনি পরিবেশ শান্ত রাখতে পুলিশ কঠোর ভূমিকায় থাকার কথা শুরু থেকে জানিয়ে আসছেন নগর পুলিশের কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। এবারের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসার মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন ১৪ হাজার ৩৭০ জন। এছাড়াও ২০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৬৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ৭৩৫ কেন্দ্র পাহারায় দায়িত্ব পালন করবেন আট হাজার পুলিশ সদস্য। এর মধ্যে ৪১০টি ভোটকেন্দ্রকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নগর পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই আশপাশের জেলা থেকেও তিন হাজার ৪০০ পুলিশ সদস্য আসছেন চসিক নির্বাচনে কাজ করতে।নগর পুলিশের সূত্রে জানা যায় সিএমপির মোট জনবল থেকে পাঁচ হাজারের মতো পুলিশ সদস্য পালন করবেন নির্বাচনি দায়িত্ব।
সিটি নিউজ/জিএস