একদিকে ভোট অন্যদিকে সব খোলা
সিটি নিউজঃ একদিকে ভোট, অন্যদিকে অফিস খোলা। দোটানায় জনগণ। রাস্তায় গণপরিবহন সংকট। মাুনুষের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি। অতীতে সকল নির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগর ছিল সাধারণ ছুটির আওতায়। ভোটের দিন ছিল রাস্তায় যানবাহন শূণ্য। এবার সব কিছু পাল্টে গেছে। ভোটের দিন রাস্তায় গাড়ী চলবে। অফিস, আদালত, ব্যাংক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা। সাধারণ জনগণের প্রশ্ন, অফিস বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শ্রমিক কর্মচারী বা মালিক কাজ ফেলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ফটক খোলা রেখে, অফিসের কাজ ফেলে কিভাবে যাবেন নিজের ভোট কেন্দ্রে। বাড়তি যানবাহন ভাড়া, গণপরিবহন সংকট ও কর্মস্থলের ছুটির ঝামেলা কিভাবে সামলাবেন। এই নিয়ে চিন্তিত কর্মজীবি মানুষ।
রেয়াজুদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী সাজ্জাদ বললেন, ব্যবসা গইজ্জম না ভোট দিতে যাইয়ুম, ন বুঝির বাজি। বিপনী বিতানের এক দোকনের কর্মচারী বললেন, মার্কেট খোলা, দো’য়ান ফেলাই যাইয়ুম কেনে? মালিক ছুটি দিলে’তো।
ইপিজেডের পোষাক রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা জানান, ইপিজেডে বেপজা চিঠি দিয়েছে কারখানা বন্ধ রাখতে ভোটের কারনে। বিদ্যুৎও শাট ডাউন থাকবে। তবে জরুরী রপ্তানীকারক শিল্প-কারখানা খোলা থাকতে পারে।
যানবাহন চলাচল, অফিস-আদালত খোলা রাখাসহ নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা ভোটের আগেই নির্বাচন কমিশনের কর্মকান্ডের চিত্র সাধারণ জনগণের কাছে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের দিন কমিশনের এই হযবরল ব্যবস্থা জনগণকে নিঃসন্দেহে ভোগান্তিতে ফেলবে। এমন ধারণা সাধারণ মানুষের।
সিটি নিউজ/জস