জনগণকে বিভ্রান্ত করা বিএনপির জন্মগত স্বভাবঃ প্রধানমন্ত্রী

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনার টিকা নিয়ে দেশে অনেক ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ হয়েছে। আসলে ‘জনগণকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা বিএনপির জন্মগত স্বভাব। যারা এরই মধ্যে টিকা নিয়েছেন, তাদের কারো মধ্যে খারাপ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলেও জানান তিনি। জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে আজ মঙ্গলবার এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের চলতি বছরের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। অধিবেশনটি প্রত্যক্ষ করতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংসদ ভবনে আসেন এবং অধিবেশন প্রত্যক্ষ করেন।

জাতীয় সংসদের সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতীতের নির্বাচনকালীন প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, ‘১০টা হোন্ডা, ২০টা গুণ্ডা, নির্বাচন ঠাণ্ডা, সেদিন আর এখন নেই বা ভোট বন্ধ থাকলেও একজনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হতো-সেদিনও নেই। হ্যাঁ, মেয়র নির্বাচনে কমিশনারদের মধ্যে কখনো কখনো গোলমাল হয়, সেটা আলাদা।

তিনি বলেন, যাদের গায়ে হাজারো কাদার ছিটা তারা আবার বড় কথা বলে কোন মুখে? সেটাই আমার প্রশ্ন।’ তিনি বলেন, আজকাল অনেক কথা এবং অনেক সমালোচনা শুনি, অনেক প্রশ্ন বিএনপি নেতারা করেন। হ্যাঁ প্রশ্ন করেন, সমালোচনা করেন কিন্তু জানি না তারা আয়নায় নিজেদের চেহারাটা ভালোভাবে দেখেন কি না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত করোনাভাইরাস বিশ্ব থেকে চলে না যাবে, ততদিন পর্যন্ত সবাইকে মাস্ক পরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যারা করোনার ভ্যাকসিন নেবেন তাদেরও মাস্ক পরে চলতে হবে। করোনাভাইরাস আরও একটু নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় বিএনপির নেতৃত্ব শূন্যতার প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সমর্থন বৃদ্ধির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘বিএনপির আজকে সেই দশা। তারা যত বক্তৃতা দিক আর যত কথাই বলুক না কেন তাদের নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি যখন একটা দলের নেতা, তখন তাদের ওপর মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস কিছুই থাকে না। সেই বিশ্বাস ও আস্থা এখন আর তাদের প্রতি জনগণের নেই। আস্তে আস্তে সেই জায়গাটা সরে গেছে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মানুষ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে যেহেতু সেবা পেয়েছে, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, দেশের মানুষের কল্যাণ হচ্ছে কাজেই স্বাভাবিকভাবেই দেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আওয়ামী লীগ অর্জন করেছে। যার প্রতিফলন আমরা দেখলাম আমাদের স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে অনেক কথা, আমাদের দুর্ভাগ্য ও হাসি পায় যে, যাদের গায়ে দুর্নীতির ছাপ, যারা ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশ পাঁচ বার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হয়েছে, এতিমের অর্থ আত্মসাতের দায়ে যাদের নেতাকে কারাবরণ করতে হয়, ১০ ট্রাক অস্ত্র পাচারের মামলা রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে বিরোধী দলের নেতাকে হত্যার প্রচেষ্টার মামলায় যারা সাজাপ্রাপ্ত তারা যদি জনগণের নেতৃত্বে থাকে তবে সেই দল জনগণের কাজ করবে কীভাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ এখন আন্তরিকভাবে ভোট দিচ্ছে। এখন ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হচ্ছে যেখানে কারচুপি করার কোনো সুযোগ নাই। যার যার ভোট সে নিজে দিতে পারে।

সিটি নিউজ/ডিটি

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.