‘নারীদের কৃষক হিসেবে মর্যাদা দিতে হবে’

0

অর্থবাণিজ্য ডেস্ক: দেশের অধিকাংশ নারীই গ্রামে বাস করেন। ফসল উৎপাদনের মাঠ এবং মাঠের বাইরের কাজেও প্রধান ভূমিকা রাখেন এসব গ্রামীণ নারী। কৃষি উৎপাদনের ২০ ধরনের কাজে জড়িত তারা। গ্রামে বসবাসকারী নারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে আজ উদযাপিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস।

উন্নয়ন কর্মীরা বলছেন, প্রায় ৫ থেকে ৬ কোটি নারী বিভিন্ন ধরনের কৃষি উৎপাদনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। জাতীয়ভাবে কৃষি নীতি হলে নারীদের কৃষক হিসেবে মর্যাদা দিতে হবে।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উবিনীগের প্রধান ফরিদা আখতার বলেন, কমপক্ষে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ নারী নিজেদের হাতে কৃষিকাজ করেন। ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে বীজ সংরক্ষণ থেকে শুরু করে মাঠে ফসল ফলানো, মাঠ থেকে ফসল আনার পর তার প্রক্রিয়াজাতকরণসহ পুরো প্রক্রিয়ায় নারীর ভূমিকা অনেক বেশি।

তিনি বলেন, আমরা শুধু আবাদি ফসলকেই কৃষি বলি। কিন্তু কৃষিতে অনাবাদী অংশও থাকে। হাঁস-মুরগী, গরু, ছাগল সব মিলিয়েই কৃষি। আর এসব কাজে নারীদের ভূমিকাই প্রধান। কৃষিকাজে নারীর অবদানের স্বীকৃতি দিতে হবে।

ফরিদা আখতার বলেন, অর্থনীতিতে নারীকে মোটেও মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। তাদের অবমাননা করা হচ্ছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের পরিসংখ্যানে নারীদের অবদান তুলে ধরা হয়নি। এমনকি দেশের অর্থনীতিবিদরাও মানদণ্ড ঠিক রাখতে পারেন না। নারীদের অবদান সম্পর্কে তারা উদাসীন।

গ্রামীণ অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখা এসব নারীদের ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে তিনি জানান, গ্রামে কৃষক পরিবারগুলোতে নারীদের যথেষ্ট মূল্যায়ন করা হয়। পরিবারে যেসব নারী সক্রিয় তারা সেখানে সম্মান পাচ্ছেন। কারণ তাদের অবদানের কারণে পরিবারগুলো লাভবান হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের কৃষি উৎপাদনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকলেও অর্থনৈতিক অবদানের মূল্যায়ন বা স্বীকৃতি দেওয়া হয় না নারীদের । তাদের অবদানকে অর্থনৈতিক মানদণ্ডে ফেলে জাতীয় আয়ে তাদের অবদান তুলে ধরলে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে নারী সমাজ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.