চট্টগ্রামে ৭ মাস ধরে আজাদ নামে ১ আসামির পরিবর্তে জেল খাটছে আরেকজন

0

সিটি নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামে মানব পাচার আইনের মামলায় সাত মাস ধরে আজাদ নামে এক আসামি পরিবর্তে জেল খাটছে রহিম নামের আরেকজন। এ নিয়ে প্রথম থেকেই পুলিশের সন্দেহ হলেও ভুল আসামি রহিম তার মিথ্যা পরিচয়ে অনড় থাকে। এমনকি দুজনের এনআইডি কার্ডও একই। তবে সম্প্রতি আজাদ নামে আরো একজন আদালতে আত্মসমর্পণ করায় এবার মূল আসামি শনাক্তে বেকায়দায় পড়েছে পুলিশ।

গত কয়েকদিন ধরেই নগরীর চকবাজার থানায় দফায় দফায় বৈঠক করছে পুলিশ কর্মকর্তারা। এক মামলায় একই নামে দুজন আসামি এখন তাদের হাতে। দু’জনেরই অভিন্ন জাতীয় পরিচয়পত্র। এমনকি দু’জনই তাদের পরিচয়ে অনড়। এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে আইনি জটিলতা।

জটিলতার শুরু ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর চকবাজার থানার মানব পাচার আইনের একটি মামলা নিয়ে। আজাদ নামে একজন এই মামলায় গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে পুলিশ তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদও করে। কিন্তু চলতি মাসের ৮ তারিখ আজাদ নামে আরেকজন একই মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জটিলতা চরম আকার ধারণ করে।

ছবির ভিন্নতা থাকলেও দু’জনেরই জাতীয় পরিচয়পত্রের যাবতীয় তথ্য একই রকম। পুলিশের ধারণা, শেষে আত্মসমর্পণ করা আজাদই এই মামলার প্রকৃত আসামি। মামলা থেকে রক্ষা পেতে একটি নকল এনআইডি তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে এনে চকবাজার থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

এদিকে আজাদ পরিচয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করা রহিমের জাতীয় পরিচয় পত্রে গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উল্লেখ করা হলেও তার প্রকৃত ঠিকানা হলো চট্টগ্রামের হাটহাজারী। দু’সন্তানের জনক রহিম আর্থিক অনটনের কারণে প্রলোভনে পড়ে আরেক পরিচয়ে জেল খাটছে বলে ধারণা তার স্বজনদের।

প্রকৃত আসামি আজাদকে শনাক্তের জন্য দু’জনকেই মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিশ। কয়েকদিনের মধ্যে দু’জনকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সিএমপির (দক্ষিণ) অতিরিক্ত ‍উপকমিশনার পলাশ কান্তি নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সিটি নিউজ / এসআরএস

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.