আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে সামরিক সরকারকে উৎখাত করে গণতান্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে প্রতিদিনই চলছে দেশটির বিভিন্ন পেশার মানুষের অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচি। মিয়ানমার সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলে পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহতের সংখ্যা পাঁচশ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে একটি অধিকার সংগঠন। সোমবার রাতে প্রদীপ জ্বেলে নিহতদের স্মরণ করেছে গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবারস (৩০ মার্চ) শুরু হয়েছে তাদের নতুন এক কর্মসূচি- ‘গার্বেজ স্ট্রাইক’। এ কর্মসূচিতে নাগরিকদের ঘরের আবর্জনা রাস্তার মোড়ে ছুড়ে ফেলে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বলা হচ্ছে।
অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স (এএপিপি) নামের একটি সংগঠন বলছে, সোমবারও বিক্ষোভে দমন-পীড়নে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে আটজন নিহত হয়েছেন ইয়াংগনের দাক্ষিণ দাগন এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীরা ওই এলাকায় বালির বস্তা দিয়ে অবরোধ তৈরি করেছিল। নিরাপত্তা বাহিনী তা সরাতে ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, রাতেও সেখানে গোলাগুলির শব্দ পেয়েছেন তারা। সে কারণে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।
এ বিষয়ে পুলিশ বা সেনা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে পারেনি রয়টার্স। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রতিবাদকারীদের ওপর এই হত্যা-নিপীড়ন বন্ধ করতে মিয়ানমারের জেনারেলদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এএপিপির হিসাবে গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে গত দুই মাসে কমপক্ষে ৫১০ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে গত শনিবার, সব মিলিয়ে ১৪১ জন নিহত হয়েছে সেদিন।
সিটি নিউজ /এসআরএস