বিক্রি বেড়েছে তুর্কি ড্রোনের

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নাগোর্নো কারাবাখ নিয়ে যুদ্ধে বিস্ময়কর সাফল্য দেখিয়েছে আজারবাইজান। আর্মেনিয়াকে পরাজিত করে কারাবাখ দখলে নিতে আজারীয় সেনাবাহিনীকে চূড়ান্ত সাফল্যে পৌঁছে দিতে যে যুদ্ধাস্ত্র সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে সেটি হচ্ছে তুরস্কের নির্মিত ড্রোন।

আর্মেনিয়ার কয়েকশ’ ট্যাংক তুর্কি ড্রোন থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। শুধু তাই নয় এ ড্রোনগুলো সিরিয়া ও লিবিয়াতে মোতায়েন করা রাশিয়ার ব্যয়বহুল ও শক্তিশালী পানসির বিমানবিরোধী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অকার্যকর করে দিয়েছে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফরাসি পত্রিকা লে মনডে শুক্রবার (২৫ জুন) তার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সম্প্রতি এমন সাফল্যের কারণে তুরস্কের ড্রোনগুলো হট কেকের মতো বিপুল সংখ্যায় বিক্রি হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুরস্ক তাদের সামরিক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিপুল সংখ্যক ড্রোন নির্মাণ করছে।

তুরস্কের ড্রোনগুলো সাবেক সোভিয়েতভুক্ত দেশগুলোতেও এ ড্রোনগুলোর চাহিদা বেড়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমটি। তারা জানিয়েছে, পোল্যান্ডের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোভুক্ত দ্বিতীয় দেশ হিসেবে তুর্কি ড্রোন কিনতে যাচ্ছে লাটভিয়া। তুরস্কের বায়ারাকতার কোম্পানি দামি ও কার্যকর এ ড্রোনগুলো তৈরি করেছে। এ ড্রোনগুলো যুদ্ধের গতিপ্রকৃতিই বদলে দিয়েছে। ২০২০ সালে এ ড্রোনগুলো যে তিন দেশে ব্যবহৃত হয়েছে সেখানকার প্রতিপক্ষ বাহিনীর ট্যাংক, আর্মড ভেইকল, গোলা-বারুদের গুদাম ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে।

লে মনডে জানায়, মাত্র ১০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তুরস্ক ড্রোন নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও চীনের মতো প্রভাবশালী দেশে পরিণত হয়েছে । প্রচুর চাহিদা সম্পন্ন এ বায়রাখতার টিবি-২ ড্রোন যুদ্ধের সময় শত্রু পক্ষের অবস্থান সম্পর্কে নির্ভুল তথ্য দিতে পারে। আক্রমণ পরিচালনার জন্য চারটি মিসাইল বহন করতে পারে আক্রমণ পরিচালনার জন্য।

এরই মধ্যে জার্মানিভিত্তিক সমরাস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে যদি জার্মানিতে তুরস্কের ড্রোন হামলা হয় দেশটির সেনাবাহিনী সেই ড্রোন হামলা ঠেকাতে সক্ষম হবে না।  জার্মান ইন্সিটিটিউট ফর ডিফেন্স অ্যান্ড স্ট্যাটেজিক স্টাডিজের আধুনিক যুদ্ধবিদ্যা বিশেষজ্ঞ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাইকেল কার্ল বলেন, মারাত্মকভাবে বলতে গেলে, যদি জার্মান সেনাদের আজারবাইজানের ওই যুদ্ধ মোকাবিলা করতে হতো, তাহলে তারা দাঁড়াতেই পারতো না।

তিনি আরও বলেছেন, আজারবাইজান যুদ্ধে যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, এমন কম্বাট ড্রোন এবং কামিকাযি ড্রোন হামলা হলে জার্মানির সেনাবাহিনী কার্যকর প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম হবে না। আমাদের সেনাবাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষার ঘাটতি আমাদের সর্বনাশের কারণ হবে।

এর আগে স্প্যানিস সংবাদমাধ্যম এল পেরিওডিকোর একটি নতুন রিপোর্টে বলা হয়, ‘তুরস্কের ড্রোনগুলো বিশ্ব জয় করেছে।’ তুর্কি ড্রোনের প্রশংসা করে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

সিটি নিউজ/এসআরএস

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.