জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৯৯ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করছে বাংলাদেশ

0

স্পোর্টস ডেস্ক: ওপেনার রেগিস চাকাভার ৮৪ রানের অনবদ্য ইনিংস সত্ত্বেও মাঝারি সংগ্রহের দিকেই ছুটছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলে সেই সংগ্রহকে বড় আকার দিলেন রায়ান বার্ল ও সিকান্দার রাজা।

দুজনেই দেখা পেলেন ফিফটির। তবে শেষদিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এক ওভারে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে লক্ষ্যটা ৩০০ ছাড়াতে দেননি।

মঙ্গলবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রান সংগ্রহ করেছে জিম্বাবুয়ে।

টসে জিতে শুরুতে ফিল্ডিং বেছে নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

এরইমধ্যে সিরিজ ২-০ তে নিশ্চিত করে ফেলায় নির্ভার বাংলাদেশ দলে দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে পেসার শরিফুল ইসলামকে, আর ইনজুরির কারণে বাদ পড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

তাদের পরিবর্তে দলে এসেছেন নুরুল হাসান সোহান ও মোস্তাফিজুর রহমান।

জিম্বাবুয়ে দলেও দুটি পরিবর্তন হয়েছে। রায়ান বার্ল ও ডোনাল্ড টিরিপানো সুযোগ পেয়েছেন। বাদ পড়েছেন রিচার্ড এনগাভারা ও তিনাশে কামুনহুকামোয়।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়ের ইনিংসের শুরুর দিকে আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। উদ্বোধনী জুটিতে শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলেন রেগিস চাকাভা ও তাদিওয়ানাশে মারুমানি। প্রথম ৮ ওভারে কোনো সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারে আক্রমণে এসেই দলকে উল্লাসের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন সাকিব।

সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেটি মাহমুদউল্লাহর জন্য মাইলফলকের ম্যাচ। ২০০তম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলতে নেমেছেন তিনি। বোলিংও করতে আসেন অষ্টম ওভারে। তার পরের ওভারেই আঘাত হানেন সাকিব। আউট হওয়ার আগে খেলা ১৯ বলে ৮ রান করতে পেরেছেন জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি ওপেনার মারুমানি।

এরপর টেইলর ও চাকাভা ৪২ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে টেইলর ২৮ রানের ইনিংস খেলে মাহমুদউল্লাহর শিকার হন। তবে চারে নামা মায়ার্সকে নিয়ে ফের রানের চাকা সচল রাখেন চাকাভা। তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে ফিফটি। দুজনের জুটিতে আসে ৭১ রান। মায়ার্সকে বোল্ড করে এই জুটিও ভাঙেন মাহমুদউল্লাহ। পরের ওভারে ওয়েসলি মাধেভেরেকে (৩) সাকিবের ক্যাচ বানিয়ে বিদায় করেন ইনজুরির কারণে প্রথম দুই ম্যাচ মিস করা মোস্তাফিজুর রহমান।

১৫৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা জিম্বাবুয়ের ভরসা হয়ে ক্রিজে ছিলেন চাকাভা। ছুটিছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির পথেও। কিন্তু তাসকিনের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় তাকে। তবে এরপর থেকেই শুরু বার্ল ও রাজার লড়াই। দুজনেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে তুলে নেন ফিফটি। ৪৮ বলে ক্যারিয়ারের ১৭তম ওয়ানডে ফিফটির দেখা পান ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা রাজা। অন্যদিকে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় মাত্র ৩৮ বলে ফিফটি তুলে নেন বার্ল। দুজনের জুটিতে আসে ১১২ রান, মাত্র ৮০ বলে।

একসময় ৭ ওভারে ৭৯ রান খরচ করে উইকেটশূন্য থাকা সাইফউদ্দিন ইনিংসের ৪৯তম ওভারে পর পর দুই বলে বার্ল (৫৯) ও ডোনাল্ড তিরিপানোকে বিদায় করেন। হ্যাটট্রিকের দেখা না পেলেও ওই ওভারের শেষ বলে টেন্ডাই চাতারাকে বোল্ড করে ফেরান ডানহাতি পেসার। এরপর ইনিংসের ও নিজের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে ব্লেসিং মুজারাবানিকে (০) বোল্ড করে স্বাগতিকদের ইনিংস গুটিয়ে দেন মোস্তাফিজ।

বল হাতে ৩টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন সাইফউদ্দিন ও মোস্তাফিজ। ২ উইকেট গেছে মাহমুদউল্লাহর ঝুলিতে। ১টি করে উইকেট গেছে তাসকিন ও সাকিবের দখলে।

সিটি নিউজ/এসআরএস

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.