‘বর্তমান সরকার চট্রগ্রাম ও কক্সবাজারকে নিয়ে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে’

0

শহিদুল ইসলাম, কক্সবাজার : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার চট্রগ্রাম ও কক্সবাজারকে নিয়ে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পর্যটকরা এখন নিরাপদে চলাচল করতে পারবে। নির্বিগ্নে দেশী বিদেশী পর্যটকরা সমুদ্র ভ্রমনে আসতে পারবে। শিঘ্রীই কক্সবাজার চট্রগ্রাম সড়ককে চার লাইনে উন্নিত করা হবে।

গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় উখিয়ার উপকুলীয় জালিয়াপালং ইউনিয়নের মেরিনড্রাইভ সড়কের ইনানী বড়খাল সেতু ও ছোটখাল সেতু শুভ উদ্ধোধনকালে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।

তিনি বলেন, সরকার সীমান্ত সুরক্ষা করতে ৬৯৫ কি: মি: সড়ক নির্মানের কাজ শিঘ্রই চালু করা হবে। সোনাদিয়া সমুদ্র বন্দর স্থাপন, মাতারবাড়ী সংযোগ পাওয়ার ষ্টেশন ও কর্ণফুলী টার্ণেল নির্মান। আগামী ২০১৭ সালের জুন মাসের মধ্যে মেরিনড্রইভ সড়কের কাজ সমাপ্ত হবে বলে তিনি আশা করেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, ১৬ ইসিবি পরিচালক এসডব্লিউও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আবদুল ওহাব, প্রকল্প পরিচালক, লেঃ কর্ণেল মোঃ মনোয়রুল ইসলাম সরদার পিএসসি, ১৬ ইসিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ও প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর মোঃ মাহবুবুর রহমান পিএসসি, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, মোঃ আলী হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ। কক্সবাজার টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়ক প্রকল্পের ইনানী বড়খাল ও ছোটখাল সেতু দুটি গুরুত্বপূর্ণ। সেতু দুটির দৈর্ঘ্য যথাক্রমে, ৪৪.২ মিটার, ৩১.৮৪ মিটার, এর ব্যয়কাল ধরা হয়েছে, ৮শত ৩৭ কোটি ২৬লক্ষ টাকা। অপর সেতুর ব্যয় ৬০৫ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। সেতু দুটি যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বহুলাংশে উন্নীত করেছে এবং সংযোগ ব্যবস্থায় জেলা শহরের সাথে অন্যান্য উপজেলা সমূহের দুরত্ব অনেকাংশে কমে এসেছে। সেতু দুটি বাংলাদেশ মিয়ানমারের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে। মেরিন ড্রাইভ সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্বি করে বিশাল ও দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত অবলোকন এবং দেশী ও বিদেশী পর্যটকদের আরো বেশি আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.