বিএনপি নেতার নির্দেশেই তাভেল্লা খুন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

0

ঢাকা অফিস : ইতালির নাগরিক সিজার তাভেল্লা খুনের ‘নির্দেশদাতা’ হিসেবে বিএনপির সাবেক কমিশনার এম এ কাইয়ুমের নাম বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রাজনীতিবিদ রয়েছেন বলে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জানিয়েছিলেন মন্ত্রী। কিন্তু তখন নাম প্রকাশ করেননি তিনি। রাতে একটি টেলিভিশনকে আসাদুজ্জামান কামাল খুনের ‘নির্দেশদাতা’ হিসেবে বিএনপি নেতা কাইয়ুমের নাম বলেন। খবর বিডি নিউজের।

এরপর যোগাযোগ করা হলে মন্ত্রী বলেন, “ইনভেস্টিগেশনে আমরা এ পর্যন্ত যা পেয়েছি, কাইয়ুমের নির্দেশেই এই হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে।” সচিবালয়ে নিজ দফতরে মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বিদেশিদের হত্যার সঙ্গে কিছু ভাড়াটিয়া জড়িত, আইএস নয়। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইএসের সব ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখেছে। কোথাও বাংলাদেশের বিদেশি হত্যার দায়ভারের স্বীকৃতি নেই।

আসাদুজ্জামান বলেন, ইতালির নাগরিক সিজার তাভেল্লা হত্যাকাণ্ডে শুধু ‘বড় ভাই’ আসল নয়, তার পেছনে যারা রয়েছেন তারা রাজনীতিবিদ। তারা গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন। ইতিমধ্যে অনেকে বিদেশে পালিয়ে গেছেন। তাদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। আর যারা দেশে রয়েছেন তারা গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তথ্য প্রমাণ বিচার বিশ্লেষণ করে দ্রুত তাদের গ্রেফতার করা হবে। যারা বিদেশে রয়েছেন তাদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতার করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। একটি পত্রিকা বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী সোহেলের জড়িত থাকার কথা বলেছে, বড় ভাই সে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওই পত্রিকার রিপোর্টের কিছু সত্যতা আছে। তবে এর মধ্যে অনেক মনগড়া তথ্যও আছে। আমরা কারো দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নয়, আমাদের তথ্যের ওপর দাঁড়িয়ে কথা বলব। রাজনীতিবিদের জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্যতা তুলে ধরব।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইএস প্রচারণা দিয়ে প্রকৃত হত্যাকারীদের আড়াল করতে চেয়েছিল। আমরা বলেছি এটা আইএসের কর্মকাণ্ড নয়, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ষড়যন্ত্রের বহির্প্রকাশ। আলামত ও শুটারদের ধরেই ফেলেছি। আমরা মিডিয়াকে আরো জানাব। এ সরকার কোনো কিছু আড়ালে আবডালে রাখে না। সত্যিকারের নিউজটাই আমরা প্রচার করব। আমরা জজ মিয়া তৈরি করি না কিংবা ধামাচাপা দেই না। দেরি হলেও সঠিক সংবাদ দিতে চাই।
তিনি বলেন, দুটি হত্যাকাণ্ড পৃথক লোকজন করলেও মোটিভ একই। জাপানি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলো জনগণকে জানানো হবে।
হযরত শাহজালালসহ বিমানবন্দরগুলোতে রেড অ্যালার্ট জারি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়নি। বিদেশে বিমান বন্দরগুলোতে কড়া নিরাপত্তা থাকে। আমরাও কড়াকড়ি আরোপ করেছি। যেহেতেু কয়েকটি ঘটনা পরপর ঘটেছে, সেজন্য সাবধানতামূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.