মিশরের ২২৪ আরোহী নিয়ে রুশ বিমান বিধ্বস্ত

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শনিবার মিশরের বিমানবন্দর থেকে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ফ্লাইট কোলাভিয়া ৭কে৯২৬৮ নামের এয়ারবাস এ৩২০। উড্ডয়নের মাত্র তেইশ মিনিটের মাথায় তুরস্কের মূল বিমান নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিমানটির। বিমানটি নিখোঁজ ঘোষণা পরবর্তীতে মিসরীয় প্রধানমন্ত্রী জানান যে, ‘নিখোঁজ বিমানটি মধ্য সিনাইয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে’। তবে সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, মিশর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে সিনাই উপত্যকার দক্ষিণাংশে বিধ্বস্ত বিমানটিকে পাওয়া গেছে।

রাশিয়ার বিমান নিয়ন্ত্রন সংস্থার পক্ষে সেগ্রেই জোভোলস্কি আরটি নিউজকে জানান, ‘এয়ারবাস এ৩২০ বিমানটি উড্ডয়নের তেইশ মিনিটের মাথায় মূল স্টেশনের সঙ্গে সকল যোগাযোগ বিচ্ছ্ন্নি হয়ে যায়। বিমানটিতে ২১৭জন যাত্রী ছাড়াও আরও সাতজন ক্রু ছিল।’ পাশাপাশি মিশরীয় প্রধানমন্ত্রী শরীফ ইসমাইল নিশ্চিত করে বলছেন যে, বিমানটি সিনাই উপত্যকার মাঝামাঝি কোথাও বিধ্বস্ত হয়েছে এবং এই অবস্থা সামলানোর জন্য মন্ত্রিপরিষদ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা রোসাভিয়াতসিয়া এক বিবৃতিতে জানায়, ‘স্থানীয় সময় সকাল ছয়টা একান্ন মিনিটে ৭কে৯২৬৮ ফ্লাইটটি শার্ম আল শেখ বিমানবন্দর থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গের দিকে রওনা দেয়। নির্ধারতি কোর্সে চললে বেলা বারোটা দশ মিনিটে বিমানটি অবতারণ করার কথা ছিল।

এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি, ঠিক কি কারণে উড্ডয়নের মাত্র তেইশ মিনিটের মাথায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে বিমান দুর্ঘটনা বিশ্লেষকদের মতামত অনুযায়ী বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষনের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ গত বছর ইউক্রেনের বিমানটিও অনেকটা একই কায়দায় বিধ্বস্ত হয়েছিল এবং পরবর্তী সময়ে জানা যায় বিমানটি ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়। অন্যদিকে স্বাভাবিক ঘটনার পালাক্রম অনুসারে, রাশিয়ার বিমানশিল্পে এর আগের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে। কাযলান নামক বিমানবন্দরে আরোহী সমেত অবতারণ করার সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই পঞ্চশজন মানুষ মারা যায়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.