চট্টগ্রাম যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চলমান সংঘর্ষ থামছে না !

0

চট্টগ্রাম অফিস  :   যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ও বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমন গ্রুপের মধ্যকার চলমান সংঘর্ষ থামছে না আধিপত্য বিস্তারকে  কেন্দ্র করে । পুলিশের ‘কৌশলী ভূমিকা’ ও নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতার ‘আশ্রয়ে’ লাগাম টানা যাচ্ছে না সরকার সমর্থিত এই দুই গ্রুপের সংঘর্ষ।

রোববার সকাল ১২টার দিকে নগরীর কোতোয়ালী থানার রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তরের (সিআরবি) সামনে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ফের সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে বাবর ও লিমনের অনুসারীরা। তবে এসময় বাবর ও লিমন কেউই ঘটনাস্থলে ছিলেন না।

এঘটনায় লিমন গ্রুপের চারজন গুলিবিদ্ধসহ আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি করার পাশাপাশি ব্যাপক লাটিচার্জ করে বাবর গ্রুপের দুই জনকে আটক করেছে।

কোতয়ালি থানার ওসি মো.জসিম উদ্দিন বলেন, ‘লিমন ও বাবরের অনুসারীরা অধিপত্য বিস্তার নিয়ে ফের সিআরবিতে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে চারজন গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ার পাশাপাশি ব্যাপক লাটিচার্জ করেছে।’

ঘটনাস্থলে এখনো বিপুল সংখ্যক র‌্যাব ও পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে বলে জানান ওসি জসিম উদ্দিন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল থেকে সিআরবির মূল ফটকের সামনে লিমন অনুসারী অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিলে সাড়ে ১২টার দিকে সম সংখ্যক বাবরের অনুসারীরা সেখানে এসে সমবেশ হয়। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হলে এক পর্যায়ে লিমন গ্রুপের বাবু নামে একজনকে মারধর করে বাবরের অনুসারীরা। এরপর পরই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এসময় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ঘায়েল করতে ইট পাটকেল ছোঁড়ার পাশাপাশি পরস্পরের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এতে লিমন গ্রুপের চারজন গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।

সি আর বি  ঘটনার পর খবর পেয়ে র‌্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাটিচার্জ ও ফাঁকাগুলি ছোঁড়ে উভয় পক্ষকে সরিয়ে দেয়। এখনো সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক র‌্যাব ও পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।

এরআগে ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রকাশ্য রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী সাজু পালিত (২৮) ও আট বছরের শিশু আরমান নিহত হয়েছিল। এ ঘটনার পর বাবরকে যুবলীগ থেকে এবং লিমনকে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল। এমনকি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন।

গত ১২ অক্টোবর দুপুরে সিআরবির সাত রাস্তার মোড়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে আবারও রক্তক্ষীয় সংঘাত ঘটে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ তিনজন আহত হয়। এরপর পুলিশ বাবর ও লিমনকে বাদ দিয়ে একটি মামলা করলেও থামেনি তাদের আধিপত্যের লড়াই। এর ধারাবাহিকতায় হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর গ্রুপ এবং সাইফুল আলম লিমন গ্রুপ নগরীতে পাল্টাপাল্টি শোডাউনও করেছিল।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.