এ বিভাগের আরও খবর
১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধে পরাজিত চীনা জাতীয়তাবাদী সরকার (কুওমিনটাং বা কেএমটি) তৎকালীন চীনা দ্বীপ তাইওয়ানে গিয়ে আশ্রয় নেয় এবং সেখানে অবস্থান করে সরকারি পরিচালনা অব্যাহত রাখে তারা।
কিন্তু মূল ভূখণ্ডে কমিউনিস্টরা মাও সেতুং-এর নেতৃত্বে আলাদা সরকার গঠন করে। তারপর থেকে বেইজিংয়ে কমিউনিস্ট সরকার ও তাইপেতে কুওমিনটাং সরকার দেশটি শাসন করতে থাকে। কিন্তু মূলভূখণ্ড কমিউনিস্টদের অধিকারে থাকায় জাতীয়তাবাদীরা তাইওয়ানেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে।
দুটি পক্ষই চীনা উত্তরাধিকারের দাবি নিয়ে আলাদাভাবে শাসিত হয়ে আসলেও চীনের উত্তরাধিকার হিসেবে কমিউনিস্টদের নেতৃত্বাধীন চীনই স্বীকৃতি পায়। কিন্তু তাইওয়ানও স্বতন্ত্রভাবেই শাসিত হতে থাকে।
গৃহযুদ্ধ বন্ধ হলেও দুপক্ষের মধ্যে এ বিষয়ে কখনো কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই হয়নি।তাইওয়ানকে নিজেদের একটি ‘দলছুট’ প্রদেশ বলে মনে করে কমিউনিস্ট চীন। প্রদেশটি একসময় মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগ দেবে বলে মনে করে বেইজিং। তবে স্বাধীনতা ঘোষণা করে বিচ্ছিন্ন হওয়ার চেষ্টা করলে শক্তি প্রয়োগে তাইওয়ানকে অন্তর্ভুক্ত করে চীনের অখণ্ডতা বজায় রাখার ঘোষণাও দিয়ে রেখেছে বেইজিং।
এরই মধ্যে ৬৬ বছর পেরিয়ে গেলও দুই বৈরি পক্ষের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এ পর্যন্ত কোনো বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। শনিবারই বহু প্রতীক্ষিত প্রথম বৈঠকটি নিরপেক্ষ ভেন্যু সিঙ্গাপুরের একটি বিলাসবহুল হোটেলে হতে যাচ্ছে।
দুনেতার সংক্ষিপ্ত রুদ্ধদ্বার বৈঠকটির পরপরই উভয়পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। এরপর নৈশভোজে মিলিত হবেন তারা।