ধারভাষ্যকার মেহরাব জুনিয়র

0

স্পোর্টস ডেস্ক :: তার মাঠে থাকার কথা ছিল না। জাতীয় দলের খেলা সচরাচর টিভিতেই দেখেন তিনি। কিন্তু হঠ্যাৎ শনিবার তাকে পাওয়া গেল মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বলছি মেহরাব হোসেন জুনিয়রের কথা।

জাতীয় দলের হয়ে ৭ টেস্ট, ১৮ ওয়ানডে ও ২ টি-টোয়েন্টি খেলা এই ক্রিকেটার এখনো ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন। জাতীয় দল থেকে এখনো অবসর নেননি। তবে শনিবার মিরপুরে এসেছিলেন। অনুশীলন কিংবা অন্য কোনো কাজে নয়। নতুন পরিচয়ে তাকে মিরপুর স্টেডিয়াম চিনল।

পরনে সাদা শার্ট আর কালো প্যান্ট। আর মাথায় লাল টুপি। এরকম গেটআপে সচরাচর ধারাভাষ্যকার আতাহার আলী খানকেই দেখা যায়। শনিবার মেহরাব হোসেন জুনিয়রও মিরপুরে আসেন ধারাভাষ্যকার পরিচয়ে।

পাঠক সত্যিই পড়ছেন। ৯৯টি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের ম্যাচ খেলা এই বাহাতি অলরাউন্ডার শনিবার বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার প্রথম ওয়ানডেতে ধারাভাষ্য দিয়েছেন।

জাতীয় দলে একসঙ্গে খেলা সতীর্থরা তাকে মেহরাব জুনিয়রকে দেখে কিছুটা অবাক হয়েছেন। সাকিব এগিয়ে এসে মেহরাবের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নতুন পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারেন। মুশফিক, তামিম ও মাহমুদউল্লাহরাও পরে ধারাভাষ্যকার মেহরাবের সঙ্গে নতুন করে পরিচিত হন।

ধারাভাষ্যের শুরুতেই মেহরাব জুনিয়র পাশে পান অভিজ্ঞ ধারাভাষ্যকার আতাহার আলী খানকে। এই রুমেই ছিলেন শামীম চৌধুরীও। বাংলাদেশের ইনিংস শেষে ধারাভাষ্যকার মেহরাব বলেন,‘‘ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর ধারাভাষ্য দেওয়ার ইচ্ছে আছে। আরও কয়েকবছর খেলব। এরপরই নিয়মিত ধারাভাষ্য দেওয়ার ইচ্ছে আছে।’’

প্রথম ধারাভাষ্য দেওয়ার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে মেহরাব জুনিয়র বলেন,‘‘খুবই ভালো লেগেছে। অভিজ্ঞতাটা একেবারে নতুন। পরিচিত মানুষ পাশে পেয়ে কাজটা অনেকটা সহজ মনে হয়েছে।’’
জাতীয় দলে তার সময়ের সতীর্থরা এখনও খেলছে। আর মেহরাব এখন তাদের নিয়েই কথা বলছেন। বিষয়টি নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই মেহরাবের। তবে রোমাঞ্চ ছুঁয়ে গেছে তার মনেও,‘‘এক সঙ্গে খেলেছি। ওদের সব কিছু জানি। তাই বাড়তি কিছু জানাতেও পারি।’’

সদ্য সমাপ্ত ওয়ালটন ১৭তম জাতীয় ক্রিকেট লিগে মেহরাব জুনিয়র খেলেছেন ঢাকা মেট্রোর হয়ে। ছয় ম্যাচে করেছেন ২৫৪ রান। একটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফসেঞ্চুরিও হাঁকিয়েছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.