স্পোর্টস ডেস্ক :: দুই ম্যাচের টোয়েন্টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়ের জন্য ১৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়েছে। ৬ষ্ঠ ওভারের শেষ বলে মুশফিকুর রহিম দলীয় ৫৪ রানে আউট হয়েছেন। মুশফিকের বিদায়ের পর স্বাগতিকদের হয়ে ব্যাট করছেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। ৯ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ এখন ৩ উইকেটে ৬৬ রান।
এর আগে ওপেনিং করতে নেমে দীর্ঘদিন পর দলে সুযোগ পাওয়া এনামুল দলীয় ৬ রানে রান আউট হয়েছেন। এনামুলের বিদায়ের পর মাঠে নামেন সাব্বির রহমান। কিন্তু দলীয় ৪৫ রানে তিনি চিসিরোর বলে এরভাইনের ক্যাচে পরিণত হন। আউট হওয়ার আগে তিনি করেছেন ১৮ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১৩১ রানে অলআউট হয়েছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই টাইগারদের বোলিং তোপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ইনিংসের প্রথম ও তৃতীয় ওভারে জিম্বাবুয়ের দুই উইকেট তুলে নেন। একপর্যায়ে ৩৮ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে।
কিন্তু ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মধ্যেই দলের হয়ে একাই লড়াই করছিলেন ম্যালকম ওয়ালার। ১৮ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ করা ১২২ রানের অর্ধেকের বেশি রান আসে ওয়ালারের ব্যাট থেকে। পরে ১৮ ওভারের শেষ বলে এ ‘ডেঞ্জারম্যানকে’ ৬৮ রানে সাজঘরে ফেরান পেস বিস্ময় মুস্তাফিজ। ৩১ বল খেলে তিনি এ রান সংগ্রহ করেন। ওয়ালার আউট হয়ে যাওয়ার পর জিম্বাবুয়ে সংগ্রহ করতে পেরেছে কেবল ৯ রান।
বাংলাদেশের হয়ে মাশরাফি, মুস্তাফিজ, আল-আমিন ও অভিষিক্ত জুবায়ের ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন।বিকাল ৫টায় মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হয়েছে। খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করছে বিটিভি ও জিটিভি।
এর আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজের দলে দুটি পরিবর্তন এনে টোয়েন্টি২০ ম্যাচে মাঠে নেমেছে টাইগাররা।
এ ম্যাচে টোয়েন্টি২০ ভার্সনে অভিষেক হয়েছে স্পিনার যোবায়ের হোসেনের। এছাড়া দলে জায়গা পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়। এনামুল সর্বশেষ এ ভার্সনের ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষিক্ত এনামুল ১২ টোয়েন্টি২০ ম্যাচে ৩০৭ রান সংগ্রহ করেছেন।
এদিকে সৌম্য সরকারের ইনজুরির কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কাকতলীয়ভাবে ওয়ানডে সিরিজে ফিরে দারুণ খেললেও টোয়েন্টি২০ ম্যাচের একাদশে জায়গা হয়নি ওপেনার ইমরুল কায়েসের। সর্বশেষ দুই ওয়ানডেতে তিনি ৭৬ ও ৭৩ রানের দুটি দারুণ ইনিংস খেলেছিলেন। ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টোয়েন্টি২০ ম্যাচ খেলার টোয়েন্টি২০ ম্যাচে আর খেলার সুযোগ পাননি তিনি।
বাংলাদেশ একাদশ : মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, এনামুল হক, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, আরাফাত সানি, মুস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন হোসেন, যোবায়ের হোসেন।
–