চসিকের ৪১টি ওয়ার্ডে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো কর্মসূচি পালিত

0

চট্টগ্রাম অফিস :  জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় পুষ্টি সেবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় পর্যায়ে শিশুদেরকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর কর্মসূচির আওতায় ‘ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন‘ ২০১৫ উপলক্ষে ১৪ নভেম্বর ২০১৫খ্রি. শনিবার নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ১৩২৪টি স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ও ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন নগরীর ২১নং জামালখান ওয়ার্ডস্থ ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে দিন ব্যাপি কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

জাতীয় পর্যায়ে ১৪ নভেম্বর এ কর্মসূচি পালিত হলেও সিটি মেয়রের সিদ্ধান্তক্রমে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১৪ ও ১৫ নভেম্বর দুই দিন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কর্মসূচি পালিত হবে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন (২য় রাউন্ড) কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ আয়োজিত সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ২১নং জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শৈবাল দাশ সুমন। সুধি সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব রশিদ আহমদ, ডেকোরেশন মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব শাহাবুদ্দিন, ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিসেস কায়সারা বেগম।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন ডা. মোহাম্মদ আলী। উপস্থিত ছিলেন ডা. ইমাম হোসেন রানা, স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিম ও ভ্যাকসিনেশন ইনচার্জ আবু ছালেহ। প্রধান অতিথির ভাষনে সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, স্বাস্থ্য সেবা মৌলিক অধিকার। কারোর দয়া বা করুণার দান নয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের সর্বস্তরের নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করেছেন। মেয়র বলেন, বাংলাদেশে শিশু মৃত্যু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমেছে। মানুষের গড় আয়ুও বেড়ে চলেছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর ৬০ লক্ষ অধিবাসীর জন্য সিটি কর্পোরেশন দৌড় গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দিয়েছে। মেয়র বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশের লক্ষে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫খ্রি. মধ্যে নগরীকে পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশ বান্ধব নগরী গড়ার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। এ লক্ষে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন ও বর্জ্য অপসারন কার্যক্রম রাতে পরিচালিত হচ্ছে।

প্রসঙ্গেক্রমে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিলেবাস নির্ভর পাঠদানের পাশাপাশি নীতি নৈতিকতা ও মূল্যবোধের উপর শিক্ষা দিতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, উন্নত, সমৃদ্ধ ও সভ্য দেশ গড়তে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে মেধা ও বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে হবে। মেয়র বলেন, নিম্ন মধ্য আয়ের বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের সাথে সংযুক্ত করে মাথা উচু করে আত্মমর্যাদায় দাঁড়াতে হবে। এ লক্ষে দল-মত-জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে দায়িত্বশীল ও দেশপ্রেমিক হতে হবে।

অনুষ্ঠান শেষে সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটি কক্ষে সিলিং ফ্যান লাগানোর জন্য এবং একবেলা ভাল নাস্তা খাওয়ানোর জন্য নগদ অর্থ প্রদান করেন। এ ছাড়াও ডেকোরেশন মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে রং করার দায়িত্ব গ্রহন করেন। উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ৭২ হাজার শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লক্ষ ৬০ হাজার শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করেছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.