বেরোবি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

0

শিক্ষাঙ্গণ ডেস্ক :: আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) হলসমূহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে এমন সিদ্ধান্ত ক্ষুব্ধ করে তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নুর-উন-নবীর সভাপতিত্বে গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভায় হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

এ সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন অনেক ছোট ভাই আমাদের কাছে থেকে পরীক্ষা দেবে। আর বিশ্ববিদ্যালয় যদি এমন সিদ্ধান্ত নেয় তবে তাদের থাকার তো দূরের কথা, আমরাই কোথায় থাকব? আমরা প্রয়োজনে হলের সব শিক্ষার্থী মিলে এর বিপক্ষে অবস্থান নেব।’

শহীদ মুক্তার ইলাহী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রাকিবুজ্জামান রাকিব বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালীন আমরা কোথায় থাকব? কাজেই এমন সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য অনেক ক্ষতিকর।’

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী রাজ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেছে বলে আমার মনে হয় না। দুই হলে মোট ৭০০ শিক্ষার্থী আছি। পরীক্ষা চলাকালীন আমরা কোথায় থাকব?’

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট কমলেশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা উপাচার্যকে বলেছিলাম যে, তাহলে শিক্ষার্থীরা কোথায় থাকবেন? তিনি বলেছেন এখনো এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হলে রেখে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকিছু যেহেতু উপাচার্যের অধীনে। তাই তিনি যা বলবেন তার বিপরীতে যাওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের নেই।’
শহীদ মুক্তার ইলাহী হলের প্রভোস্ট আমীর শরীফ বলেন, ‘আমি নিজেও এর বিরোধী। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার সময় হলে থাকতে পারবে না তো কোথায় থাকবে?’

মেয়েদের শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের প্রভোস্ট ড. আবু সালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান (তুহিন ওয়াদুদ) বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন এ হলটি পূর্বে বন্ধ ছিল না, এখনো বন্ধ রাখার ব্যাপারে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিছুই বলেনি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নুর-উন-নবী এ ব্যাপারে বলেন, ‘যেহেতু এবারই প্রথম শুধু আমাদের নিজস্ব ভেন্যুতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, তাই আমরা নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আর এটা তো বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত। তাই এ বিষয়ে কে কী বলল তা দেখার কোনো সুযোগ নেই। আর নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় শিক্ষার্থীদের হলে রেখে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়।’
আগামী ৬, ৭, ৮ এবং ১০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.