চট্রগ্রাম অফিস :: যুদ্ধাপরাধী আলী আহাসান মুজাহিদের ফাঁসির দন্ড বহাল রাখার প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে স্বাভাবিক রয়েছে বন্দর নগরী চট্রগ্রাম ।
হরতালে রাস্তাঘাটে যান চলাচল স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কম হলেও চোখে পড়ছে গণ পরিবহনের উপস্থিতি। তবে, চট্টগ্রাম থেকে আন্ত:জেলা রুটে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ আছে। কিছু কিছু কল কারখানা এবং অফিস আদালতে কাজ কর্ম চলছে। চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরেও কাজ কর্ম প্রায় স্বাভাবিক। তবে, বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন কিছুটা কম। হরতালে স্বাভাবিক আছে বিমান ও ট্রেন চলাচল।
ভোর ৬টায় হরতাল শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত নগরী বা জেলার কোথাও নাশকতা কিংবা সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি এবং কোথাও হরতালের সমর্থনে মিছিল করতে দেখা যায়নি জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত উপ কমিশনার গোয়েন্দা নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, হরতালে নগরীর স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে, বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি ও অনান্য আইন শৃংখলা বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
এদিকে, নগরী ও নগরীর বাইরে সব মিলিয়ে ১৪ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে।
বিজিবি’র ৮ ব্যাটেলিয়ন অধিনায়ক লেফাটানেন্ট কর্ণেল এমারত হোসেন জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে সব মিলিয়ে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়ন করা হয়েছে, এরমধ্যে মহানগরীতে চার প্লাটুন, সীতাকূন্ড, হাটহাজারী, বাশঁখালী ও রাঙ্গুনিয়ায় দুই প্লাটুন করে বিজিবি সদস্য টহল দিচ্ছে, এই ছাড়াও আরো দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্যকে স্ট্যান্ড বাই রাখা হয়েছে।
হরতালে বন্দরে স্বাভাবিক কাজকর্ম চলছে বলে জানিয়েছেন সামসুদ্দিন পারভেজ নামের নিরাপত্তা বিভাগের এক কর্মকর্তা। তিনি জানান, সবগুলো জাহাজ থেকে পন্য খালাস চলছে, কিছু কিছু পণ্য বন্দরের বাইরে ডেলিভারীও হচ্ছে।