রাউজান ও ফরিদপুরের পথে সাকা-মুজাহিদের লাশ

0

সিটিনিউজবিডি :: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর লাশ কারাগার থেকে বের করা হয়েছে।

ফাঁসি কার্যকরের প্রায় দুই ঘণ্টা পর রাত ২টা ৪৯ মিনিটে লাশবাহী চারটি এ্যাম্বুলেন্স কারা ফটক দিয়ে বের হয়ে আসে। তবে কোন কোন এ্যাম্বুলেন্সে লাশ দুটি রাখা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

লাশবাহী চার এ্যাম্বুলেন্সের গন্তব্যস্থল চট্টগ্রামের রাউজান ও ফরিদপুরের খাবাসপুর। আর এ্যাম্বুলেন্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এর সামনে ও পেছনে র‌্যাব ও পুলিশের দুটি করে গাড়ি রয়েছে।

আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদকে ফরিদপুরের খাবাসপুর এবং সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে চট্টগ্রামের রাউজানে দাফন করা হবে।

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সটি রবিবার ভোর ৬টার দিকে ফেনী অতিক্রম করেছে বলে ফেনী প্রতিনিধি জানান।

এদিকে, রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জিহাদুল করিম পিপিএম রবিবার ভোর ৫টা ৪৬ মিনিটে জানান, মুজাহিদের লাশবাহী গাড়িবহর রাজবাড়ী অতিক্রম করেছে।তিনি আরও জানান, গাড়িবহরটি ফরিদপুর সীমান্তে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। গাড়িবহরের নিরাপত্তায় জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসি রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে একই মঞ্চে পাশাপাশি ফাঁসিকাষ্ঠে কার্যকর করা হয়। আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ফাঁসি কার্যকরের সময় উপস্থিত ছিলেন- আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, এডিশনাল আইজি প্রিজন, জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, সিনিয়র জেল সুপার, জেলার, ডেপুটি জেলার, সিভিল সার্জন, কারা চিকিৎসক, ডিএমপি কমিশনারের প্রতিনিধি, লালবাগ জোনের ডিসি ও র‌্যাবের প্রতিনিধি।

রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি। কিন্তু রাষ্ট্রপতি তাদের আবেদন নাকচ করে দেন। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ দুই পরিবারকে কারাগারে ডাকেন।

মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় রিভিউয়ে দুই যুদ্ধাপরাধীর আবেদন বুধবার সর্বোচ্চ আদালতে খারিজ করে দেন। বৃহস্পতিবার রায় পৌঁছায় কারাগারে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.