সিটিনিউজবিডি :: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের লাশ নিজ এলাকা ফরিদপুরের খাবাসপুরে পৌঁছেছে। রবিবার ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে কঠোর নিরাপত্তায় লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সটি খাবাসপুর আইডিয়াল মাদ্রাসায় পৌঁছে।
আইডিয়াল মাদ্রাসায় শনিবার রাত থেকে মুজাহিদের পরিবারের সদস্যরা অবস্থান করছিলেন। লাশ পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে জানাজার নামাজ আদায় করে দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে ।
তিনি আরও জানান, ভোর ৬টা ৫৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত জানাজায় পরিবারের সদস্য ছাড়া স্থানীয় জামায়াতের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। তবে বাইরের কাউকে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি।
জানাজার নামাজ পড়ান মুজাহিদের বড় ভাই ও ফরিদপুর জামায়াতের আমীর আলী আফজাল মো. খালেছ। এখন দাফনের কাজ চলছে।
এর আগে, কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ জানান, পরিবারের সদস্যদের মতামত নিয়ে পশ্চিম খাবাসপুরে মুজাহিদের প্রতিষ্ঠিত আইডিয়াল মাদ্রাসার গেটের বাইরের ডান পাশে তার কবর খোঁড়া হয়।
ফাঁসি কার্যকরের প্রায় দুই ঘণ্টা পর রাত ২টা ৪৯ মিনিটে লাশবাহী চারটি এ্যাম্বুলেন্স কারা ফটক দিয়ে বের হয়ে আসে। এর একটিতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর এবং অপর একটিতে আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের লাশ রাখা হয়।
ফাঁসি কার্যকরের সময় উপস্থিত ছিলেন- আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, এডিশনাল আইজি প্রিজন, জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, সিনিয়র জেল সুপার, জেলার, ডেপুটি জেলার, সিভিল সার্জন, কারা চিকিৎসক, ডিএমপি কমিশনারের প্রতিনিধি, লালবাগ জোনের ডিসি ও র্যাবের প্রতিনিধি।
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামি। কিন্তু রাষ্ট্রপতি তাদের আবেদন নাকচ করে দেন।