বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

0

 চট্টগ্রাম অফিস :    বাংলাদেশ দোকান মালিক ব্যবসায়ীদের একমাত্র ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। বাংলাদেশের পঁচিশ লক্ষাধিক দোকান মালিক ব্যবসায়ী অত্র সংগঠনের সদস্য। সমগ্র দেশে এ সংগঠনের প্রত্যেক জেলায় একটি কমিটি বিদ্যমান। সেই হিসাবে চট্টগ্রামে তিন সাংগঠনিক জেলা নিয়ে যেমন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ও চট্টগ্রাম মহানগর নিয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলা শাখা কমিটি গঠিত। চট্টগ্রাম জেলার প্রায় সাড়ে তিন লক্ষের অধিক দোকান মালিক ব্যবসায়ী অত্র সংগঠনের সদস্য। চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার প্রায় ১১০টি মার্কেট বা বাজার কমিটি অত্র সংগঠনে অন্তর্ভূক্ত। অতীতে আমরা ব্যবসাীদের স্বার্থে অনেকগুলো কাজ করেছি। যেমন ব্যাংকের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন, সাইনবোর্ড ট্যাক্স, শপ ট্যাক্স প্রত্যাহার, প্যাকেজ ভ্যাট প্রবর্তন, দোকানে দোকানে ই.সি. আর মেশিন বসানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানসহ ব্যবসায়ীদের পাশে থেকে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় দোকান মালিক সমিতি সমিতি ভূমিকা রেখে আসছে।

সম্প্রতি সময়ে ছোটখাট দোকান থেকে শুরু করে ব্যবসা সংক্রান্ত সবক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক ট্রেড লাইসেন্স ফি বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। এ ব্যাপারে আমার বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি এবং এফবিসিসিআই এর মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স ফি কমানোর জন্য জোরদাবি জানিয়ে আসছি। আমরা চট্টগ্রামের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের জানাতে চাই যে, আমরা আমাদের দাবি আদায়ে সফল হয়েছি। গত ২৫ নভেম্বর ২০১৫ইং তারিখ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার কর্তৃক মন্ত্রণালয় এর সহিত বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে এক যৌথসভায় ট্রেড লাইসেন্স ফি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উল্লেখ্য যে, পূর্ব ধার্যকৃত ছোটখাটো দোকানে ধার্য্যকৃত তিন হাজার টাকার পরিবর্তে এক হাজার টাকায় নামিয়ে আনা হয়। সেই হিসাবে অন্যান্য ক্ষেত্রেও ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স সমূহের হার সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। অতি শীঘ্রই সরকারের এই সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমে সকলের অবগতির জন্য প্রকাশিত হবে। ইতিপূর্বে চলতি বছরের বর্ধিত হারে ট্রেড লাইসেন্স যারা নবায়ণ করেছেন তাদের বাড়তি ফি আগামি বছরের নবায়নকল্পে সমন্বয় করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং আগামি ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করার সময়ও বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভ্যাট এর ইন্সপেক্টরগণ ব্যবসায়ীদের গণহারে ভ্যাটের জন্য হয়রানি করে থাকেন। উল্লেখ্য যে, বার্ষিক ত্রিশ লক্ষ টাকা মোট বিক্রির ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত বিদ্যমান রয়েছে। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম শাখার পক্ষ থেকে ট্রেড লাইসেন্স সংক্রান্ত সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা আশাকরি ব্যবসাবান্ধব বর্তমান সরকার সবসময় ব্যবসায়িদের কল্যাণে পাশে থাকবেন।
আমরা দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম শাখাকে আরো সুসংগঠিত ও সকল ব্যবসায়িদের অংশগ্রহণমূলক একটি শক্তিশালী বাণিজ্যিক সংগঠনে রূপান্তরের জন্য আগামি ডিসেম্বর ২০১৫ মাসকে সাংগঠনিক মাস হিসেবে ঘোষণা করেছি। আমরা আগামি ডিসেম্বরের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরের প্রতিটি মার্কেট কমিটির বা বাজার গণসংযোগ এর মাধ্যমে মার্কেট কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি এবং চট্টগ্রামের উত্তর ও দক্ষিণে যে সমস্ত উপজেলায় এখনো কমিটি গঠিত হয়নি সে সমস্ত উপজেলায় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কমিটি গঠণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়রকে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, চট্টগ্রাম শাখার উপদেষ্টা কমিটি চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। চট্টগ্রামের সকল সাংসদকে উপদেষ্টা করার এবং চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ ও চট্টগ্রাম ইউম্যানস চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স প্রেসিডেন্টকে অত্র সংগঠনের উপদেষ্টা করার সিদ্ধা গৃহীত হয়।
ব্যবাসীয়রা নানা সমস্যায় জর্জরিত। যেমন: ইনকাম ট্যাক্স, ভ্যাট, পরিবেশ অধিদপ্তর লাইসেন্স, বিএসটিআই ভোক্তা অধিকার সংস্থা, ট্রেড ইউনিয়ন সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যায় দোকান মালিক ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হয়ে আসছে। এজন্য চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সমন্বয়ে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান সমূহের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং দোকান মালিক ব্যবসায়িদের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক,

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে মতবিনিময় করে ব্যবসায়ীদের সমস্যা নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অত্র সংগঠন অত্যন্ত ঝাকজমকপূর্ণভাবে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির জাতীয় কমিটির ২০১৫-২০১৮ দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত গত ১৪ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কমিটি সভায় সর্বসম্মতক্রমে গৃহীত হয়েছে এবং উক্ত সম্মেলনে বাংলাদেশেল সখল জেলা হতে নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রামে আগমন করবেন।
পরিশেষে বাণিজ্যিক রাজধানী পটভূমি চট্টগ্রামে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলাকে একটি শক্তিশালী বাণিজ্যিক সংগঠনে পরিণত করার জন্য সাংবাদিক ভাইদের সার্বিক সহযোগিতা ও দোকান মালিক সমিতির ভাইদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করে অত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব ছালামত আলী, হাজী মো. সাহাবুদ্দিন, সৈয়দ ছগীর আহম্মদ, সৈয়দ খুরশেদ আলম, মো. জাকির হোসেন, মো. সাগীর, আবদুর রাজ্জাক, আলহাজ্ব নুরুল কবির, আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন তালুকদার, আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ইঞ্জিনিয়ার তাজুল ইসলাম প্রমূখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.