বাংলাদেশকেও অস্থির করার চেষ্টা চলছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

0

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বাংলাদেশকেও অস্থির করার চেষ্টা চলছে-অভিযোগ করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ বলেছেন,বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে ‘আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিবার পরিকল্পনা অফিসে হামলা হয়েছে। কিন্তু কোন কিছুতেই দেশের অগ্রযাত্রাকে কেউ থামিয়ে দিতে পারবেনা।’

নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর নাগরিক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আখতারুজ্জামান বাবু আ’লীগের দুঃসময়ের বন্ধু ছিলেন উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর চরম দুর্দিনে বাবু ভাই আওয়ামী লীগের হাল নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর আমরা পাঁচ লক্ষ টাকার বিশাল বাজেট করেছিলাম। যার অর্ধেক অর্থই দিয়েছিলেন বাবু ভাই। দলের দুর্দিনে তিনি শ্রম, অর্থ, ধন-সম্পদ সবকিছু অকাতরে দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘এখন যেমন চট্টগ্রামে এলে হোটেলে-সার্কিট হাউজে থাকি তখন সেই সুযোগ ছিলনা। চট্টগ্রামে এলেই আমরা বাবু ভাইয়ের বাসাতেই থাকতাম। দেশে ফেরার পর আমাদের নেত্রী যখন চট্টগ্রাম এলেন তখন আমাদের কোন গাড়ি ছিলনা। তখনও বাবু ভাই গাড়ি সংগ্রহ করে দিয়েছিলেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাবু ভাই বেঁচে থাকলে এবার তিনি কেবিনেট মন্ত্রী হতেন। এই একটা জিনিস তার অপূর্ণ থেকে গেছে। নেত্রী তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য করেছিলেন। তার সবার কথাই মনে থাকে। বাবু ভাই ছিলেন সকল দল ও মতের কাছে গ্রহণযোগ্য। আমাদের যারা বিরোধী তারাও বাবু ভাইকে সম্মান করতেন। এজন্য এরশাদ সাহেবের সময় বাবু ভাই এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন।’

ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ব্যবসায়ী হিসেবে যেমন সফল ছিলেন,রাজনীতিতেও সফল ছিলেন । মুক্তিযুদ্ধে অকুতোভয় ব্যক্তিত্ব – গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারেও চট্টগ্রামের মানুষকে নিয়ে তিনি এগিয়ে এসেছিলেন।’

মঈন উদ্দিন খান বাদল এমপি বলেন, ‘চট্টগ্রামে উন্নয়নে আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু সব সময় এগিয়ে আসতেন। তিনি রেলসড়কসহ কর্ণফুলী সেতুর স্বপ্ন দেখেছেন, কর্ণফুলী ট্যানেল, কর্ণফুলীর মোহনা থেকে মিরসরাই পর্যন্ত উপকূলীয় বাঁধ এবং কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। যদিও জীবদ্দশায় হয়তো সবকিছু করে যেতেপারেননি।’

আখতারুজ্জামানের ছেলে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, ‘স্মরণসভায় মানুষের বিপুল উপস্থিতি বলে দেয় আমার বাবা কতটা ভালোবাসার মানুষ ছিলেন। আর মানুষের ভালোবাসাতেই বেঁচে থাকবেন তিনি।’

স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ড. অনুপম সেন। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মন্ত্রী ডা. আফসারুল আমিন এমপি, আবু রেজা নদভি এমপি, সাবিয়া মুছা এমপি, ইউএসটিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রভাত চরণ বড়ুয়া, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.