বাঁশখালীতে শশার বাম্পার ফলন,সুনাম অর্জন দেশের সর্বত্র

0

কল্যাণ বড়ুয়া মুক্তা, বাঁশখালী  :  বাঁশখালীর সাগর উপকূলসহ পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় বর্তমানে শতাধিক হেক্টর জমিতে শশার বাম্পার ফলন হওয়ায় চাষীরা নানা ভাবে উপকৃত হচ্ছে। এমনকি বেশ কিছু এলাকায় নতুন করে শশা চাষের কার্যক্রম এখনো চলছে। প্রথম প্রথম বাজারে শশার দাম ৮০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা এখন ৪০-৫০ টাকায় নেমে এসেছে। বাঁশখালীর পাহাড়ি এলাকায় উৎপাদিত শশা প্রতিদিন চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাইকারী ব্যবসায়ীরা কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছে। বিশেষ করে বাঁশখালীর উপকূলীয় বাহারছড়া, সরল, খানখানাবাদ, গন্ডামারা এলাকায় প্রচুর পরিমাণ শশার চাষ করেছে উপকূলীয় চাষীরা।

তবে পাহাড়ি এলাকার পুঁইছড়ি, চাম্বল, শীলকূপ, জলদী, বৈলছড়ি, কালীপুর, সাধনপুর ও পুকুরিয়া এলাকায় প্রচুর পরিমাণে শশার চাষ হয়েছে। এ ব্যাপারে কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে শতাধিক হেক্টর জমিতে শশার চাষ হলেও বেশ কিছু এলাকায় এখনো পর্যন্ত শশা চাষের কার্যক্রম চলছে। বাঁশখালীর উপকূলীয় বাহারছড়া, সরল এলাকায় ঘুরে উপকূলীয় এলাকা জুড়ে শুধু শশা আর শশা ক্ষেত চোখে পড়ার মত। চাষীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে এই শশা উত্তোলন ও পরিচর্চার কাজে। যারা আগেবাগে শশা উৎপাদন করেছে তারা চড়া মূল্যে বিক্রি করতে পারলেও বর্তমানে যাদের উৎপাদন হচ্ছে তারা একই ভাবে দাম না পাওয়ার জন্য হতাশা ব্যক্ত করলেও উৎপাদন ভাল হওয়ায় চাষীরা নানা ভাবে উপকৃত হচ্ছে।
বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকা গুলোতে শুকনো মৌসুমে নানা ধরনের সবজি ও বোরো চাষ, লবণ উৎপাদন হয় । একদিকে লবণ উৎপাদন, অপর দিকে শীতকালীন নানা ধরনের সবজি যেমন- টমেটো, আলু, মিষ্টি লাউ, কুমড়া, শসার উৎপাদন এখন চোখে পড়ার মত। উপকূলীয় খানখানাবাদ ও বাহারছড়া এলাকায় সরজমিনে পরিদর্শনকালে উপকূলীয় বেড়িবাঁধের আশে পাশে জমি গুলোতে প্রচুর পরিমাণ সবজি ক্ষেত দেখা যায়। কারণ উপকূলীয় এলাকায় বার মাসই নানা ধরনের ফসল ফলানো সম্ভব হয়। স্থায়ী বেড়িবাঁধ হতে বিলম্ব হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানি ঢুকে ফসলী জমির ক্ষতি সাধন করলেও শুকনো মৌসুমে চাষীরা নিজেদের যে জায়গা টুকু রয়েছে তাতে নানা ধরনের সবজির ক্ষেতে কর্ম ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে চাষীরা। এই ব্যাপারে উপকূলীয় চাষী ইব্রাহিম চৌধুরী, পাখিজা বেগম, মরিয়ম বেগমসহ উপকূলীয় বেশকিছু চাষীরা জানান, এখানকার শশা গুলো খুবই সুস্বাদু এবং পরিবেশ যথাযথ থাকলে অল্প দিনেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। ভাল শশা উৎপাদন ও ফলনের কারণ জানতে চাইলে স্থানীয় চাষী নুর মোহাম্মদ ও মাহাবু আলম বলেন, এখানকার মাটি খুবই উর্বর। তাই অল্প সময়ে ফলন ভালো হয়ে থাকে । বাঁশখালীর উপকূলের সবজি ক্ষেত গুলো যথাযথ ভাবে সংরক্ষণে স্থানীয় এবং রাষ্ট্রীয় ভাবে যদি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় এবং সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় তাহলে উপকূলীয় চাষীরা তাদের কষ্টার্জিত চাষের ফলন যথাযথ ভাবে পাবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.