সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে কক্সবাজার ইনানী সমুদ্র সৈকত

0

সিটিনিউজবিডি :: দেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম ও প্রাকৃকিত প্রাচুর্য্যে ভরপুর কক্সবাজারের  ইনানী সৈকত অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যত্রতত্র অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ পরবর্তীতে মোটা অংকের টাকায় হাতবদল যেন চিরাচরিত প্রথায় পরিণত হয়েছে।

এমতাবস্থায় পর্যটন পরিবেশ হুমকির মুখে পড়ে ইনানীর সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে দাবি করে ইনানী বীচ বহুমুখী সমবায় সমিতি নেতৃবৃন্দরা জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে একটি আবেদন করেছে।

প্রদত্ত আবেদনের সূত্রে জানা যায়, ২৫ বছর ধরে ইনানী বীচ রক্ষণাবেক্ষণ ও পর্যটকদের সেবা প্রদান করে আসছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের হাতেগড়া সংগঠন ইনানী বীচ বহুমুখী সমবায় সমিতি।

বিগত ২০১০ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমদ শামীম আল রাজী ইনানী বীচ এলাকায় একটি মাশরুম মার্কেট গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে বীচে গড়ে উঠা দোকান-পাট উচ্ছেদ করে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করে ১৭ জন ব্যবসায়ীর নিকট থেকে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে জামানত আদায় করলেও মার্কেট নির্মাণ করা হয়নি।

এ নিয়ে প্রশাসন ও ব্যবসায়ী সমিতির মধ্যে বিরোধের জের ধরে ব্যবসায়ী সমিতি নেতৃবৃন্দরা হাইকোর্টে একটি রিট মামলা দায়ের করেন।

ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের দাবি, ইনানী সৈকতে পর্যটন পরিবেশ সংরক্ষণে একটি মাশরুম মার্কেট নির্মাণ সহ মহিলাদের চেইঞ্জিং ও বাথরুম নির্মাণ অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে।

তাছাড়া অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে তদস্থলে মাশরুম মার্কেট নির্মাণ পূর্বক সমিতির তালিকাভুক্ত ব্যবসায়ীদের দোকান বরাদ্ধ দেওয়া হলে পর্যটন পরিবেশের সম্প্রসারণ সহ সরকার পর্যটন খাতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হতো।

উল্লেখ্য যে, সরকার পর্যটন পরিবেশের অধিকতর উন্নয়নের মাধ্যমে বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করে রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিলেও সম্ভাবনাময়ী ইনানীর পর্যটন পরিবেশের আশানরূপ উন্নয়ন হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন জানান, ইনানী বীচে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা ইতিপূর্বে উচ্ছেদ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ভাসমান ব্যবসায়ীরা অস্থায়ীভাবে ব্যবসা করতে পারবে। তবে পর্যটন পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব পড়বে এমন কোন স্থাপনা করতে দেওয়া হবে না। তাছাড়া পর্যটকদের সুবির্ধার্থে চেইঞ্জিং ও বাথরুম স্থাপন করার জন্য জেলা পরিষদের সাথে আলোচনা চলছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.