রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্র এখন নির্বাসনে :খালেদা

0

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বর্তমানে রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্র এখন নির্বাসনে। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী বিভেদ অনৈক্য এবং সংকীর্ণতার দ্বারা জাতীয় অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

“শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রোববার দুপুরে এক বানীতে তিনি এসব কথা বলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে শাহাদৎ বরণকারী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়া বলেন, দেশের অভ্যন্তরে অপশক্তি তাঁদের সে প্রত্যাশাকে বাস্তবায়িত হতে দেয়নি। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই অগণতান্ত্রিক শক্তি তাদের মুখোশ খুলে ফেলে গণতন্ত্রকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল। আবারও সেই অশুভ শক্তি এখন দেশের মানুষের সার্বজনীন গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো একের পর এক অমানবিক কায়দায় থেতলে দিয়ে সীমাহীন রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ত্ব দিনে দিনে দূর্বল করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ এবং দেশকে একটি সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর ও শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হতে হবে। এ ক্ষেত্রে শহীদ বুদ্ধিজীবীগণ আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ১৪ ডিসেম্বর একটি বেদনাময় দিন, বাংলাদেশকে মেধা মননে পঙ্গু করার হীনউদ্দেশ্যে চুড়ান্ত বিজয়ের ঊষালগ্নে হানাদার বাহিনীর দোসররা দেশের প্রথিতযশা শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানীসহ বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করোছিলো। তারা মনে করেছিল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে পারলেই সদ্য স্বাধীন দেশ হিসাবে বাংলাদেশ মেধার উৎকর্ষহীনতায় নেতৃত্বহীন হয়ে মুখ থুবড়ে পড়বে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দুর্বল হয়ে পড়বে এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতি রুদ্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু তাদের সে লক্ষ্য ব্যর্থ হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.