রাঙামাটি প্রতিনিধি : রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় কাপ্তাই থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর মা। বুধবার রাত ১০ টায় মামলাটি করেন তিনি।
মামলার দেড় ঘন্টা পরে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত প্রধান হোতা শাহ আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে ধর্ষণের সময় ব্যবহৃত অটোরিকশাটি।
রাঙামাটি পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন শহ আলম ধর্ষণ করার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী জানিয়েছে, বুধবার ভোর পাঁচটার দিকে প্রতিদিনের মতো কাপ্তাই সুইডেন পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট (বিএসপিআই) সড়কে হাঁটতে বের হয় সে। আনুমানিক পাঁচটার দিকে একটি অটোরিকশা থেকে নেমে চারজন লোক তার মুখ চেপে জোরপূর্বক অটোরিকশায় তুলে শহীদ মোয়াজ্জেম নৌ ঘাঁটি সড়কে নিয়ে যায়। তারপর পাশের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে আবার অটোরিকশা যোগে বিএসপিআই সড়কের কাছে ফেলে দ্রুতগতিতে চলে যায়। সে কোনো মতে বাড়িতে ফিরে ঘটনাটি জানায়।
ওই ছাত্রী আরো জানায়, ধর্ষক চারজনই বাঙালি। এদের মধ্যে দুইজন অটোরিকশা চালায় এবং তারা মুখ চেনা। তারা ওই এলাকায় অটোরিকশা চালায়।
ব্লাস্ট রাঙামাটি সমন্বয়কারী অ্যাড. জুয়েল দেওয়ান বলেন, ছাত্রীটিকে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দেয়া হচ্ছে।