সিপিডির বক্তব্য সঠিক নয়: বাণিজ্যমন্ত্রী

0

সিটিনিউজবিডি :: সম্প্রতি কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রী পর্যায়ের ১০ সম্মেলনের অর্জন সম্পর্কে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ(সিপিডি) সংবাদ সম্মেলনে যে সকল তথ্য পরিবেশন করেছে তা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

আজ বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সম্মেলন কক্ষে সিপিডির সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশিত তথ্যের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ সম্মেলনে যোগদান করেছিল, তা সফল হয়েছে। বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত দেশসমুহের সমন্বয়কারী এবং মুখপাত্র। বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত সকল দেশের পক্ষে কাজ করেছে, বিভিন্ন ইস্যুতে বার্গেনিং করেছে এবং তা সফল হয়েছে। মিনিস্টেরিয়াল ডিকলারেশনে তার প্রতিফলন ঘটেছে। সেখানে এমন কিছু নেই, যাতে বলা যায় বাংলাদেশ হতাশ বা ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ এবং এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর প্রাপ্তি অনেক।

মন্ত্রী বলেন, একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রাপ্তি অনেক। এর মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ মূলত ঔষধ শিল্পের ক্ষেত্রে মেধাসত্ত্ব সংক্রান্ত অব্যাহতির মেয়াদ ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা ট্রিপস কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মিনিষ্টেরিয়াল কনফারেন্সে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। cpd প্রিফারেন্সিয়াল মার্কেট এক্সেস বিশেষ করে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা কার্যকরভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে রুলস অফ অরিজিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। রুলস অফ অরিজিন প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।

ফলে শতকরা ৭৫ ভাগ আউটসোসিং করে প্রদত্ত সুবিধার আওতায় পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হবে। পূর্বে এর পরিমান ৭০ ভাগ ছিল। সেবা খাতে স্বল্পোন্নত দেশসমুহকে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে ওয়েভারের মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

এছাড়া স্বল্পোন্নত দেশের জন্য কৃষিপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ পরিবহনে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ভর্তুকি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। ডব্লিউটিও‘র সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ মর্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ ছাড়া বেশিরভাগ উন্নত দেশের কাছ থেকে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা পাচ্ছে। এ অবস্থায় নাইরোবি এমসি-১০ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশ বা এলডিসিভুক্ত দেশসমুহের কোনো প্রাপ্তি নেই বা হতাশ এটা সঠিক নয়।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, এলডিসিভুক্ত দেশসমুহের সমন্বয়কারী এবং মুখপাত্র হিসেবে সম্মেলনের সংশ্লিষ্ট সকল মিটিং এবং নেগোসিয়েশনে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে মতামত দিয়েছে, বার্গেনিং করেছে এবং সুফল বয়ে এনেছে। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার এমসি-১০ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশসমুহের প্রতিনিধিগণ বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যর্থতার কিছু নেই। সারাবিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জল হয়েছে। সকলকে দেশের উন্নয়ন ও ভাবমুর্তি উজ্ঝলের পক্ষে কথা বলা উচিৎ। সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে সিপিডির কোন অংশগ্রহণ ছিল না। ফলে সম্মেলনে বাংলাদেশের ভূমিকা বা প্রাপ্তির অনেককিছুই সংস্থাটির অজানা থাকতে পারে।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) অমিতাভ চক্রবর্তী, জেনেভায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের মিনিস্টার ড. মোস্তফা আবিদ খান, এফবিসিসিআইর সভাপতি আবদুল মতলুব আহমাদ, আন্তর্জাতিক চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির প্রেসিডেন্ট মো. মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ঔষধ সমিতির মহাসচিব আব্দুল মুক্তাদির বক্তব্য রাখেন।

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয় ডব্লিউটিওর মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন অন্তুর্ভূক্তিমূলক না হওয়ায় বাংলাদেশের জন্য এর ফলাফল হতাশাজনক।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.