‘২০১৫’ বাংলাদেশ ক্রিকেটের সোনালী বছর

0

স্পোর্টস ডেস্ক :: একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের কাছে স্বর্ণোজ্জ্বল হয়ে থাকবে ২০১৫ সাল। ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার এক যুগের বেশি সময় পর ক্রিকেট নিয়ে গর্ব করার মতো একটি বছর পার করল দেশের ক্রিকেটাররা। পুরো বছরটাই হাইস্পিডে চলেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট ট্রেন।

বেশ কয়েকটি ম্যাচে টানা পরাজয়ের পর ২০১৪ সালের নভেম্বরে জাতীয় ক্রিকেট দলের নেতৃত্বে আসেন ফাস্ট বোলার মাশরাফি-বিন মুর্তজা। দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকার পর মুশফিকুর রহিমের চাপ কিছুটা কমাতে নড়াইল এক্সপ্রেসকে দলের ভার দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

মাশরাফির নেতৃত্বে ২০১৫ সালে ১৭টি ম্যাচ খেলে ১৩টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ এই বছরে ৭৫ শতাংশের বেশি ম্যাচে দেশের মানুষকে জয় উপহার দিয়েছে নড়াইল এক্সপ্রেস ও তার দল। যা এই বছরে এশিয়া অঞ্চলের জন্য সর্বোচ্চ জয়। এছাড়া চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি জয়ের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ১৯ ম্যাচে ১৫ জয় নিয়ে ২০১৫ সালে জয়ের তালিকায় শীর্ষে আছে অস্ট্রেলিয়া; তাদের জয়ের হার ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ।

আইসিসি বিশ্বকাপ দিয়ে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের ২০১৫ সালের ক্রিকেট বর্ষ। ক্রিকেট মহাযজ্ঞের ওই আসরের প্রথম রাউন্ডে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ড্র ও অপর স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাজিত হলেও অপর ৩ ম্যাচে জয় তুলে নেয় টাইগার বাহিনী। ওই আসরে আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডের পাশাপাশি ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও জয় তুলে নিয়েছেল মাশরাফির দল। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে পরাজিত হয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় দারুণ ফর্মে থাকা বাংলাদেশ। আম্পায়ারদের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে উত্তেজনা ও বিতর্কিত হয়েছিল ওই ম্যাচ।

মাশরাফির নেতৃত্বে ২০১৫ সালে ১৭টি ম্যাচ খেলে ১৩টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ এই বছরে ৭৫ শতাংশের বেশি ম্যাচে দেশের মানুষকে জয় উপহার দিয়েছে নড়াইল এক্সপ্রেস ও তার দল। যা এই বছরে এশিয়া অঞ্চলের জন্য সর্বোচ্চ জয়।
বিশ্বকাপ আসর শেষে দেশে ফেরার পর থেকে ব্যস্ত সময় পার করেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপের পরই হোম গ্রাউন্ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার আয়োজন করে বিসিবি। ওই সফরে ওডিআইতে বাংলাদেশের কাছে ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ হয় অতিথিরা। একই ধারা অব্যাহত থাকে টোয়েন্টি-টোয়েন্টিতেও। একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয় মাশরাফি বাহিনী। তবে টেস্টে তেমন কিছুই করতে পারেনি টাইগাররা। ২ টেস্ট সিরিজে ১-০ তে জয় পায় পাকিস্তান।

পাকিস্তান দেশে ফিরে যাওয়ার পরই বাংলাদেশ সফরে আসে ভারত ক্রিকেট দল। এই সিরিজেও প্রথম থেকে জয়ের ধারায় ছিল বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে অতিথিদের সহজেই পরাজিত করে টাইগাররা। তবে তৃতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে নিজেদের রক্ষা করে কোহলি বাহিনী। এই সিরিজের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী আলোচনার ঝড় তুলে তরুণ ফাস্ট বোলার মুস্তাফিজুর রহমান। অল্প সময়ের মধ্যে কাটার মুস্তাফিজ নামে নিজেকে পরিচিত করাতে সক্ষম হন তিনি। তবে সফরের একমাত্র টেস্ট বৃষ্টির কারণ পরিত্যক্ত হলে ড্র ঘোষণা করা হয়।

ভারতের পর হোম গ্রাউন্ডে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকেও কাবু করে বাংলাদেশ। তবে ৩ ম্যাচের ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। কিন্তু পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। সহজেই জয় তুলে নেয় মাশরাফি বাহিনী। শেষ ম্যাচেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখে টিম টাইগার। ওডিআই সিরিজে জয় তুলে নিলেও ২ ম্যাচে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ তে পরাজিত হয় বাংলাদেশ। তবে বৃস্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ায় ড্র ঘোষণা করা হয় ২ ম্যাচে টেস্ট সিরিজ।

বছরের শেষ প্রান্তে বাংলাদেশ সফরে আসে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। ২০১৪ সালের নভেম্বরে এই দলের বিপক্ষ ৫-০ তে সিরিজ জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন মাশরাফি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম গ্রাউন্ডের ম্যাচ দিয়ে শেষ হয় মাশরাফি বাহিনীর ২০১৫ সাল। ওই সিরিজেও অতিথিদের ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-১ এ ড্র করে টিম টাইগার।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.