নির্বাচনী এলাকায় বিশেষ অভিযানে যৌথ বাহিনী

0

সিটিনিউজবিডি :: নির্বাচনী এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনায় মাঠে নামছে যৌথ বাহিনী। আগামীকাল সোমবার এ অভিযান শুরু হবে। দেশের উত্তরাঞ্চলকে জঙ্গিপ্রবণ চিহ্নিত করে সেখানে অভিযানে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সোমবার মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী এলাকায় সব ধরনের বহিরাগতের অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আনুষ্ঠানিক প্রচারকাজ।

বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ বাহিনীর সমন্বয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হবে। স্থানীয় প্রশাসন থেকে এ অভিযান সমন্বয় করা হবে। ইসি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সারাদেশে ঘটে যাওয়া ৭০টি সহিংসতার ঘটনা শনাক্তের পাশাপাশি প্রায় এক হাজার ২০০ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২৩৪টি পৌরসভায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোটকেন্দ্র রয়েছে। সহিংসতা বন্ধে ইসি সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।

ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কমিশন থেকে আগেই নির্দেশনা দেওয়া আছে। ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে আসা-যাওয়া নিশ্চিত করতেই অভিযান চালানো হচ্ছে। নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যš- অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার একটি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারে

সক্রিয় দুই হাজার সন্ত্রাসী ও গডফাদারের তালিকাসহ একটি প্রতিবেদন ইসির কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী-ক্যাডারদের আটক করতে অভিযান পরিচালনার সুপারিশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই হাজার ২৯ সন্ত্রাসী পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারে সক্রিয়। এদের মধ্যে বিএনপির এক হাজার ১২১ জন, আওয়ামী লীগের ৫৬১, জামায়াত-শিবিরের ২১১, জাতীয় পার্টির চারজন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) একজন, জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) ১০ ও অন্যান্য ১২১ জন রয়েছে। এসব সন্ত্রাসীর ৬৩৭ আশ্রয়দাতা ও গডফাদার আছে।

নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণবিষয়ক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের খসড়া পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রতিটি কেন্দ্রে পাঁচজন অস্ত্রধারী পুলিশ, দু’জন আনসার (অস্ত্রসহ) এবং আনসার-ভিডিপির ১২ সদস্য মিলিয়ে মোট ১৯ সদস্যের দল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবে। প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে অতিরিক্ত একজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ২০ জন দায়িত্ব পালন করবেন। পরিপত্র আজ জারি হতে পারে। পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রতিটি পৌরসভায় পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত একটি করে ভ্রাম্যমাণ ও অপেক্ষমাণ দল দায়িত্ব পালন করবে। র‌্যাবের একটি করে দল ভ্রাম্যমাণ এবং ৮১টি দল অপেক্ষমাণ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া প্রতিটি পৌরসভায় এক প্লাটুন করে বিজিবি এবং মুলাদী, মেহেন্দীগঞ্জ, পাথরঘাটা, রামগতি ও হাতিয়া পৌরসভার প্রতিটিতে এক প্লাটুন করে কোস্টগার্ড দায়িত্ব পালন করবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ২৩৩টি পৌরসভায় অতি গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার ১৮৪টি। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩৪৮, রংপুর বিভাগে ১১৮, রাজশাহী বিভাগে ২৪৬, খুলনা বিভাগে ১৯৫, সিলেট বিভাগে ৪৫, বরিশাল বিভাগে ৬৩ ও চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬৯টি কেন্দ্র রয়েছে।

ইসি সচিবালয়ের উপসচিব সাজাহান খান জানিয়েছেন, মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত পদের দুই কোটি ১০ লাখের বেশি ব্যালট পেপার, ভোট দেওয়ার সিলসহ নির্বাচনসামগ্রী বিতরণ শুরু হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এগুলো সব কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে।

ভোট পর্যবেক্ষণ করতে চায় ৩২ সংস্থা :নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য দেশি ও বিদেশি ৩২টি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান ইসিতে আবেদন করেছে। এর মধ্যে ৩০টি দেশি প্রতিষ্ঠানের পর্যবেক্ষকের সংখ্যা চার হাজার ১৮৯ জন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.