সিটিনিউজবিডি :: থার্টি ফার্স্ট নাইটের অনুষ্ঠান সন্ধ্যার পরে না করে দিনের বেলায় করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের ওই দিন সবাইকে সচেতন থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আনন্দ করতে কোনো বাধা নেই। তবে তা রাতে না করাই ভাল। সব সময় একভাবে আনন্দ করতে হবে এমন নয়।
দিনের বেলায়ও তো আনন্দ করা যায়। সচিবালয়ে আজ সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক মন্ত্রী সাংবাদিককে এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে তথ্য দেওয়া মন্ত্রিসভার সদস্যরা নাম প্রকাশ করতে চাননি। আলোচনায় দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেশি-বিদেশি চক্র সক্রিয় রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার সদস্যদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
সচিবালয়ে ৬ নম্বর ভবনে অফিসে থাকা একজন মন্ত্রী জানান, প্রথমে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন পর্যটক আকর্ষণে কক্সবাজারে বড় করে থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপনের বিষয়টি তোলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মসজিদসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, অস্ত্র ও গোলা-বারুদসহ জঙ্গি গ্রেপ্তারের বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। বেশিরভাগ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।
তথ্য দেওয়া অপর একজন মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ নিয়ে চক্রান্তকারীদের অভাব নেই। নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেশি-বিদেশি চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা নানা ছক নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। সবাইকে সতর্ক থাকা ও পরিস্থিতি বুঝে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার সদস্যদের বলেন, অনেক চাপ উপেক্ষা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, রায় কার্যকর করতে হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব দায়িত্ব শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একার না, সবাইকেই যার যার অবস্থান থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভূমিকা রাখতে হবে। অবহেলা করা যাবে না। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।