শিক্ষকদের কর্মবিরতির ডাক

0

ঢাকা অফিস :: বেতনবৈষম্য দাবিতে ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতারা।

বৈঠক শেষে ফেডারেশনের মহাসচিব এস এম মাকসুদ কামাল সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষকদেরর দাবি আদায়ে আগামী ১১ জানুয়ারি দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হবে। কর্মবিরতি শুরুর আগে ৩ জানুয়ারি শিক্ষকরা কালো ব্যাজ পরে ক্লাসে যাবেন। ৭ জানুয়ারি সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

শিক্ষকদের বিরোধিতার মধ্যে অষ্টম বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন দাবি আদায়ে গত ২৭ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’-এর হুমকি দিয়েছিল।

অষ্টম বেতন কাঠামো ঘোষণার পর থেকেই গ্রেডে মর্যাদার অবনমন এবং টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষকরা। কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকও করেন। গত ৬ ডিসেম্বর বৈঠকে অর্থমন্ত্রী শিক্ষকদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এর ১০ দিন পরও প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রতিফলন ঘটেনি বলে অভিযোগ করছেন শিক্ষকরা।

শিক্ষকদের তিনটি দাবির মধ্যে ছিল- অষ্টম বেতন কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সপ্তম জাতীয় বেতন কাঠামোর মতো সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহাল রাখা। এ ক্ষেত্রে সপ্তম বেতন স্কেলে বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা কমানো যাবে না। জ্যেষ্ঠ সচিবদের জন্য সৃষ্টি করা সুপার গ্রেডে সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের একটি অংশকে শতকরা হারে উন্নীত করার বিধান। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রারম্ভিক বেতন সপ্তম গ্রেডে সম্ভব না হলে অষ্টম গ্রেড থেকে শুরু করা।

কিন্তু প্রজ্ঞাপনে প্রথম দুটি দাবির প্রতিফলন না ঘটায় সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করে অষ্টম বেতন কাঠামো সংশোধনের পর আবার গেজেট প্রকাশের দাবি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছিল শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.