চট্টগ্রাম অফিস : তুরস্ক মনোরম ও নৈসর্গিক স্থান বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সাথে প্রাচীন স্থাপত্য সংরক্ষণ আইটি, কারিগরী, স্বাস্থ্য ও জাহাজ নির্মাণ খাত সহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহ ব্যক্ত করে। ৩ জানুয়ারি ২০১৬খ্রি. রবিবার, সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওজতার্কের (Mr. Devrim Ozturk) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীনের সাথে তাঁর অফিস কক্ষে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন। তুরস্কের রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রাম নগর ভবনের মেয়র দপ্তরে পৌঁছলে মেয়র তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান । সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন তুর্কী রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রামে সফরে আসায় তাকে নগরবাসীর পক্ষে ধন্যবাদ জানান।
মেয়র তুরস্ককে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, বন্দর নগরী চট্টগ্রাম ভৌগলিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে গার্মেন্টস শিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সহ বিবিধ খাতে পুঁজি বিনিয়োগ ও পর্যটন শিল্পের জন্য উপযোগী ও নিরাপদ এলাকা। এ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, বহু বিদেশী কোম্পানী সাফল্যের সাথে চট্টগ্রামে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে যাচ্ছে। মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন নগরীর আন্দরকিল্লায় অবস্থিত অতি প্রাচীন শাহী জামে মসজিদটির সংস্কারে পবিত্র নগরী মদিনার মসজিদে নববীর আদলে এ মসজিদের স্থাপত্য শিল্প অটুট রেখে সংস্কারের প্রস্তাব করেন। মেয়র বলেন, নগরীর পতেঙ্গা নেভাল এভিনিউকে ইতোপূর্বে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ নামে নামকরণ করা হয়েছে। মেয়র চট্টগ্রাম-ইস্তাম্বুল এর মধ্যে টু-ইন সিটির সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব করেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে বিদ্যমান তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিষয় তুলে ধরে সেগুলোতে কর্মরত বাঙালি শ্রমিকদের কাজের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, গার্মেন্টস খাত বাংলাদেশের জন্য অনেক সুনাম ও বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তুরস্কে বাংলাদেশের পোশাকের চাহিদার বিষয়টি মেয়রকে অবিহিত করেন। পরে রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত জেনারেল হাসপাতাল, শাহী জামে মসজিদ, চন্দনপুরা মসজিদ পরিদর্শন করেন।
বৈঠকে তুর্কীর অনারারী কনসাল জেনারেল সালাউদ্দিন কাসেম খান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম, সচিব রশিদ আহমদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিম সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।