জামাল জাহেদ, কক্সবাজারঃ দীর্ঘ ১২বছর সময় পার হয়েছে।তরুনেরা পাচ্ছেনা সুযোগ,হচ্ছেনা সম্মেলন নানা দ্বিধা উৎকন্ঠায় আবারো কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল ও সম্মেলনের জন্য আগামী ২৮ জানুয়ারী নির্ধারিত হয়েছে।আদৌ তা বাস্তবায়ন হবে কিনা নেতাদের মাঝে হতাশার সুর।নতুন আরেকটি দিন নির্ধারণ করাতে জেলাব্যাপী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে দারুণ প্রাণচাঞ্চল যদি ও একাধিক তরুন রাজনীবিদের অভিযোগ,নিয়ম অনুযায়ী তাদের সুযোগ দিতে হবে তাই সিনিয়র বয়স্ক নেতাদের ঘড়িমসির কারনে দীর্ঘ এক যুগ নানা বাহনায় জর্জরিত জেলা আঃলীগের কমিটির কাউন্সিল ও সম্মেলন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়,দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাঃসম্পাদক জনাব সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠি ইস্যু করে বার বার কমিটি করার নির্দেশ দিলেও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল সফল করতে পারেন নি বর্তমান কমিটি।একাধিক বার দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা করে সম্মেলনের ঘোষনা দিলেও কোন কাজে আসেনি সেসব বৈঠক আর ঘোষনা।দলের অভ্যন্তরে নানা কোন্দল আর কমিটির উপরের সারিতে বসার নানা কৌশলে কাউন্সিলর ও পদমর্যাদার ঠানপোড়নে বারবার ভেসে যাচ্ছে ঘোষিত সম্মেলনের তারিখ।যদিও জেলা কমিটির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে মহেশখালী উপজেলা ব্যতীত সকল উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ের সকল ইউনিটের সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে।তারপরেও সফল করতে পারেনি এখনো জেলা সম্মেলনের জন্য নির্ধারিত কোন তারিখ।অন্যদিকে বিভিন্ন অনলাইন ও জাতীয় গনমাধ্যমে একেক সময় একক জনের সভাপতি সাঃসম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মর্মে ৭১সদস্য বিশিষ্ট কমিটি প্রচার করলেও এখনো পর্যন্ত কেন্দ্র ঘোষিত কোন গেজেট কোন গনমাধ্যম পায়নি বলে নিশ্চিত করেন কক্সসবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন।
২৮শে জানুয়ারী ঘোষিত এ জেলা কমিটিতে অনেক নতুন তরুণ নেতৃত্বের রাজনীবিদ এগিয়ে আসবে বলে মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীরা মতামত প্রকাশ করেন। পাশাপাশি স্থান পেতে নিজেদের অনেকাংশে মুখিয়ে রেখেছেন বেশ কিছু নুতন নারী নেতৃত্ব মুখ ও পুরুষ সদস্য। নতুন পুরাতন মিলে জেলা আওয়ামীলীগের এবারের কমিটি অনেক শক্তিশালী কমিটি হবে নেতাকর্মীরা উচ্ছাস্ প্রকাশ করেন রাজনীতির মাঠে।যেহেতু দলীয় কোন্দল আর নেতাদের নানা জটিলতায় সম্পন্ন হয়নি ২০০৩সালের পর থেকে কোন সম্মেলন ও কমিটি। দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, যুদ্ধপরাধীর বিচারের নানা ইস্যুতে আন্দোলনে নানা ঝামেলায় ও কাউন্সিলর তালিকা নিয়ে অনিয়মসহ নানা জটিলতার অভিযোগের কারণে বার বার পিছিয়ে ছিলো জেলা কমিটি।৫মাস আগে কক্সবাজার কমিটি গঠনের দায়িত্ব দিয়েছেন দলের সাংঘনিক সম্পাদক ও পার্বত্য বান্দরবনের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপিকে,পরবর্তীতে বর্তমান সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কে দায়িত্ব দেওয়া হয়।পরবর্তী তে মাননীয় সড়ক ও সেতু মন্ত্রীর চেষ্টা ও ব্যর্থ হলে।কেন্দ্রে গিয়ে ফাইল বন্দী হয়ে যায়, দীর্ঘদিন দলের সাঃসম্পাদক, বর্তমান সঃস্থাপন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কাছে।
কক্সবাজার জেলা কমিটির এসব নানা জটিলতা প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কানে পৌছলেই তিনি কমিটির ফাইল এবং কক্সবাজার জেলার সবকটি উপজেলার সভাপতি সাঃসম্পাদককে তলব করেন প্রধানমন্ত্রী ভবনে।পরবর্তীতে তাদের মতামত ও জেলার পরিস্থিতি ও দলের নিজস্ব গোয়েন্দা রিপোর্টের পর্যালোচনা করার জন্য নিজেই সিদ্ধন্ত নিয়েছেন কক্সবাজার জেলা কমিটির ঘোষনা জানাবেন বলে। এতে দলের অনেক শীর্ষস্থানীয় কক্সবাজার জেলা কমিটির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করার তালিকায় ছিলেন বর্তমান গৃহায়ন ও গণফুর্ত মন্ত্রী ইনজিনিয়ার মোশাররফ হোসেন,সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী হাসান মাহমুদ এমপি,সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি প্রমুখ।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ২০ ডিসেম্বর সর্বশেষ জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর প্রয়াত নেতা একেএম মোজাম্মেল হক সভাপতি ও সালাউদ্দিন আহমদ সিআইপি সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।এরপর ২০০৫ সালে একেএম মোজাম্মেল হকের মৃত্যুর পর দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোনীত হন সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী। পরে নানা কারনে তিনি দায়িত্ব হারালে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয় জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবি একে আহমদ হোসাইনকে। সেই থেকে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এরমধ্যে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।আজ অবধি কোন কমিটি গঠন ও সম্মেলন করতে পারেনি কক্সবাজার জেলা আঃলীগ।