নিজস্ব প্রতিবেদক : বেসরকারি স্কুলে ভর্তি বানিজ্য বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের নেতারা। পাশাপাশি সরকারি স্কুলে আসন সংখ্যা বাড়ানোরও দাবি জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতে এ দাবি জানানো হয়। ক্যাবের পক্ষে বিবৃতিদাতারা হলেন- ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, নগর সভাপতি জেসসিন সুলতানা পারু, সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন শহরে নামীদামি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে নীতিমালা না মেনে ভর্তি ও পুনঃ ভর্তির নামে শির্ক্ষাথীদের কাছ থেকে নিয়মবহির্ভুতভাবে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
সরকারি স্কুলে আসন সংখ্যা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হলেও বিভিন্ন কোটায় বিভক্ত করে মূলত আসন সংখ্যা আরো কমানো হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, ফলে স্কুলে ভর্তি নিয়ে নগরবাসী চিন্তিত।
চট্টগ্রাম সিটিকর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান পরিচালিত স্কুলেও সরকারি পে স্কেল ঘোষণার কারণে শিক্ষকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধির অযুহাতে ভর্তি, পুনঃভর্তি এবং টিউশন ফি দ্বিগুণ করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা, অবিলম্বে সরকারি স্কুলে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও বেসরকারি স্কুলে ভর্তি বানিজ্য বন্ধের দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, গত ডিসেম্বর মাস থেকেই নগরীতে কেজি স্কুলে ভর্তি বানিজ্য শুরু হয়েছে। সরকারি ও নামীদামি স্কুলে ভর্তির জন্য কোচিং ব্যবসা, ভর্তির সময় ডোনেশন, বিভিন্ন ফি আদায় করায় মধ্যবিত্ত সহ নাগরিকদের কাছে শিক্ষা অধিকারের পরিবর্তে পণ্যে পরিণত হয়েছে।
‘পুনঃভর্তি, টিউশন ফি আদায়ের কোন সামনঞ্জস্য নেই, যে যার ইচ্ছামতো আদায় করে পকেট ভর্তি করছে। সরকারের শিক্ষা সচিবের জারি করা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শির্ক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে নীতিমালা না মেনে ইচ্ছে মতো ফি আদায় করছে।’
এ অবস্থায় কেজি স্কুল ও বেসরকারি স্কুল নিয়ন্ত্রণে পৃথক কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা দরকার বলে মনে করছেন তারা। না হলে সাধারণ জনগণকে প্রতারিত হতে হবে এবং ভোগান্তির নিত্য নতুন মাত্রা যোগ হবে।
ডিসেম্বর শুরুর আগেই কোচিং বানিজ্য শুরু হয়েছে অভিযোগ করে নেতারা বলেন, সরকারি স্কুলে ক্লাসের সঙ্গে চলছে কোচিং।অথচ তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত মাধ্যমিক শিক্ষা পরিদফতর, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা প্রশাসন দিবা নিদ্রায় মগ্ন।