জেএমবিদের টার্গেট বিজ্ঞানের ছাত্র ও অর্থকষ্টে জর্জরিত যুবক

0

জামাল জাহেদ, কক্সবাজারঃ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের তরুন মেধাবী ছাত্র ও অর্থ কষ্টে জর্জরিত যুবকদের টার্গেট করে দলে ভিড়াচ্ছে জেএমবি সদস্যেরা।ইসলাম ধর্মের নামে জান্নাত আর জাহান্নামের নামে ভুলভাল বুঝিয়ে,মরলে শহীদ বাচলে গাজী বলে বচন শিখিয়ে ব্রেন সার্ভ করে জঙ্গি তৎপরতায় উৎসাহিত করে সম্পৃক্ত করার মানসে দলে ভিড়াচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামিয়াতুল মুজাহিদ বাংলাদেশ (জেএমবি) নেটওর্য়াকে। সে সাথে টার্গেটের তালিকায় রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরাও।যাদের কে দাওয়াতি কাজ মাথায় ডুকিয়ে দিয়ে কিছুদিন ন্যায় কাজ করিয়ে পরে টাকার লোভে জিম্মি করে একেক মিশনে পাটাচ্ছে দেশের আইন শৃঙ্খলা নষ্ট করার উদ্দ্যেশ্যে।

বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অপারেশন ও ধরপাকড় গ্রেফতারের সুত্রমতে জানা যায়,যারা গ্রেফতার হচ্ছে এবং যেসব জেএমবি সদস্যের তথ্যতে বড় বড় বিস্ফোরক দ্রব্য অস্ত্র গোলাবারুধ,এবং সেনাবাহিনীর পোশাক পাওয়া যাচ্ছে তাদের বেশির ভাগ বিজ্ঞান বিভাগের উচ্চ মাধ্যমিক থেকে ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্র,গোপন সুত্রে এটা জানা যায়,জেএমবি টাকার লোভে দেশের ভিতরে থাকা বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রদের টার্গেট করে কাজ করিয়ে যাচ্ছেন, যেহেতু বিজ্ঞান বিভাগে পড়ুয়া সব ছাত্রেরা জানে যে,কোন দ্রব্য বা উপাদান কতো পরিমানে,বোমা বা বড় ধরনের নাশকতা ব্যবহার হবে।

দেশের বিজ্ঞান মনস্ক ছাত্রদের এভাবে টার্গে করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গিমদদ গোষ্টি। এসব পড়ুয়া ছাত্রদের কাজ কর্মেও নজর রাখার কথা বলেন,আইন বিশেষজ্ঞ জাহাঙ্গীর আলম। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নানা অনুসন্ধানে জানা যায়,সত্যিকার ইসলামের নানা বিষয়ের অপব্যাখ্যা দিয়ে বর্তমান সরকার ব্যবস্থার ভুল বুঝিয়ে খেপিয়ে তোলা হচ্ছে তাদের।ধর্ম মানুষের এমন কোন বস্তু আছে কিনা তা আদৌ জানেনা এসব তরুন অল্প বয়সী ছাত্রেরা।নিজেদের দুর্বল দিকটি টার্গেট করে কাজে লাগাচ্ছেন এসব জঙ্গিরা।

চট্রগ্রামে খোয়াজনগর,প্রবর্তকমোড়,সাতকানিয়া, হাটহাজারী,চট্রগ্রামের ২নং গেইট,কক্সবাজারের ঈদগড়,বাশখালী,গাইবান্ধা’র গোবিন্দগঞ্জের বুলবুল সরকার, ঝিনাইদহ’র কোটচাঁদপুরের বাবু, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর জাবেদ কিংবা দিনাজপুরের বিরল গ্রামের আরশাদ হোসেন। এদের সবাই দরিদ্র পরিবারের সন্তান ও এসব জায়গার নিরীহ ছেলেদের ধর্মের নামে ভুল বুঝিয়ে কাজ করাচ্ছে, টাকার লোভে তাদের । লেখাপড়াও তেমন করেনি। এদের অশিক্ষার পাশাপাশি দরিদ্রতার সুযোগ নিয়েছে জঙ্গি নেতারা।জঙ্গি নেতাদের মগজ ধোলাইয়ের শিকার হয়ে এরা এখন জঙ্গি সংগঠন জে এম বি’র সক্রিয় সদস্য।

এমনকি কেউ কেউ নিয়েছে আত্মঘাতী হওয়ার তালিমও। এ বিষয়ে কক্সবাজার পুরিশ সুপার শ্যামল কুমার দত্ত জানান,কক্সবাজারের সবকটি মাদ্রাসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্টানের উপর প্রশাসনের সতর্ক নজরধারী রয়েছে আশা করি পুলিশ বাহিনী বড় ধরনের কোন সমস্যা হতে দেবেনা কক্সবাজারে। অন্যদিকে এ তথ্য জানান,চট্রগ্রাম পুলিশ কমিশনার আবদুল জলিল মন্ডল।সিএমপির অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) বাবুল আকতারের মতে, মূলত দাওয়াতি কার্যক্রমের মাধ্যমে শুরু করা হয় মগজ ধোলাই। চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে নামানো হয় অপারেশনাল কার্যক্রমে।

এদিকে,অপব্যাখ্যায় বিভ্রান্ত না হয়ে এ ধরণের জঙ্গি তৎপরতা থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহবান জানান কক্সবাজার নুনিয়াছড়ার মসজিদের খতিব অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ এনাম রেজা আলক্বাদেরী।পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ এবং আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তমূলক জবানবন্দীতে জেএমবি সদস্যরা জানিয়েছে, সারাদেশে তাদের সক্রিয় সদস্যদের সংখ্যা প্রায় পাঁচশ।বিভিন্ন গোয়েন্দা সুত্র ও ভারতের গোপন তথ্য বলে যাচ্ছে ১০৩৯জন জেএমবি যে কোন মুহুর্তে দেশে বড় ধরনের নাশকতা বা আগাত আনার সম্ভাবনা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.