চট্টগ্রাম অফিস : আজ থেকে ভোজ্য তেল লিটার প্রতি ৫ টাকা কমে বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার তেল। তবে আগামীকাল থেকে নতুন দামের প্রভাব খুচরা বাজারে পড়বে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
শনিবার চট্টগ্রাম বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৫ লিটারের প্রতি বোতল সয়াবিন তেল ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ৪৪৫ থেকে ৪৫৫ টাকায়। আর খোলা তেল ৮৮ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের দামে কেনা, তাই আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা। বিক্রেতারা জানান, সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নে অন্তত আরো সপ্তাহখানেক সময় দিতে হবে তাদের। মূলত এখান থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারী আকারে তেলসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য সরবরাহ হয়ে থাকে।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদের সঙ্গে বাংলাদেশ ভোজ্য তেল পরিশোধনকারী ও বনস্পতি উৎপাদনকারী সমিতির নেতাদের বৈঠকে শনিবার থেকে ভোক্তা পর্যায়ে লিটার প্রতি পাঁচ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
শনিবার সকালে খাতুনগঞ্জে অবস্থান করে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শনিবার পর্যন্ত ব্যবাসায়ীরা কাছে দাম কমানোর এই ধরনের সকরারি কোনো নির্দেশনা পাননি। ফলে তারা আগের দামেই পাইকারী ও খুচরা বাজারে তেল বিক্রি করছেন। এমনিক সরকারি নির্দেশনা পেলেও ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অন্তত আরো সাত দিন সময় লাগবে তাদের।
এছাড়া পাইকারী বাজারে সয়াবিনের দামও গতকাল থেকে আরো বেড়েছে। গতকাল মণপ্রতি সয়াবিনের দাম যেখানে ২ হাজার ৯৫০ টাকা ছিলো সেখানে শনিবার সেটি ১৫ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৬৫ টাকা। আর সেটি খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫০ টাকায়। এছাড়া পামওয়েলের দামও আগের মত স্থিতিশীল, পাইকারী বাজারে বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ২ হাজার ৩২ টাকায়। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ২১শ’ টাকায়।
আবু তৈয়ব নামে ভোজ্য তেলের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘গত সপ্তাহে যে দামে মিল থেকে তেল আমরা স্টক করেছি। এখন সেই দামে বিক্রি করতে না পারলে বিপুল পরিমাণ লোকসান গুনতে হবে। সেজন্য হুট করেই সরকারি সিদ্ধান্ত আমরা মানতে পারছিনা। আগের রেটে কেনা তেল বিক্রির পরই সরকারি রেটে তেল বিক্রি করা হবে।’
এদিকে পাইকারী তেল ব্যবসায়ী আব্দুর সিটিনিউজকে জানায়, ‘সয়াবিন তেলে মণপ্রতি ২শ টাকা করে দাম কমেছিল। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় শনিবার থেকে দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে। মনেকরা করা হচ্ছে সেটি আরো বাড়বে।’
চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক ও তেল ব্যবসায়ী আলমগীর পারভেজ দাবি করেছেন, দুপুরের পর থেকে অনেকে সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে লিটার প্রতি পাঁচ টাকা কমে তেল বিক্রি করছেন।
তবে খুচরা পর্যায়ে যাদের কাছে তেল মজুদ রয়েছে, তারা হয়তো ওই তেল শেষ না হওয়া পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি করবে। সে ক্ষেত্রে আরো দু-একদিন সময় লেগে যেতে পারে।