অর্থবাণিজ্য ডেস্ক : পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, ভাল কাজের প্রচার হয় না। গুণীজনরা যা ভাল হচ্ছে তা নিয়ে বেশি আলোচনা করেন না। বরং যা না হচ্ছে, তা নিয়ে বেশি আলোচনা করেন। সবজি উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয়। অথচ এই বিষয়টি নিয়ে কেউ আলোচনা করে না।
রোববার দুপুরে কেআবি অডিটোরিয়ামে ‘পুষ্টি নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য দূরীকরণে বছরব্যাপী হরেক রকম সবজি চাষ’ শীষর্ক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কখা বলেন। এ সময় তিনি নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনের উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, অমর্ত্য সেনের বিষয়ে কেউ তেমন আলোচনা করে না।
মন্ত্রী বলেন, ‘পশ্চিমারা পুষ্টি সচেতন, স্বাস্থ্য সচেতন। তারা ভাল খাবার সম্পর্কে সচেতন। আমাদের দেশর মানুষদেরও সচেতন করে তুলতে হবে। পুষ্টির ব্যাপারে সচেতন করতে পারলে সবজির চাহিদা বাড়বে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দেশ সবিজ উৎপাদন ও রপ্তানির জন্য বিরাট সম্ভাবনাময়। এটিকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। অরগানিক পদ্ধতির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমরা যদি সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ করতে পারি, তাহলে রপ্তানিতে এ খাত বিরাট অবদান রাখবে।’
তিনি আরো বলেন, কৃষক, শ্রমিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশকে বাঁচিয়ে রাখছে।
সেমিনারে কৃষিসচিব শ্যামল কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী । সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড আবুল কালাম আযাদ। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান। ‘পুষ্টি নিরাপত্তা ও দারিদ্র দূরীকরণে বছরব্যাপী হরেক রকম সবজি চাষ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস চ্যান্সেরর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূইয়া।
সেমিনার শেষে আ কা মু গিয়াস উদ্দীন মিলকি অডিটরিয়াম চত্বরে তিন দিনব্যাপী ‘জাতীয় সবজি মেলা ২০১৬ ও সবজি প্রদর্শনী’ উদ্বোধন করেন পানি সম্পদ মন্ত্রী। এরপর অতিথিরা জাতীয় সবজি মেলা ২০১৬ ও সবজি প্রদর্শনীর বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। এর আগে সকাল ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা হতে খামার বাড়ি সড়ক পর্যন্ত মেলা ও প্রদর্শনী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি হয়।