ঢাকা অফিস, সিটিনিউজবিডি : বিপিসি (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন) জ্বালানি তেল বিক্রি করে ৮০ ভাগ মুনাফা করছে কিন্তু ঘোষণা করছে অর্ধেকেরও কম। বাকি টাকা নানাভাবে লোপাট হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মূলত এ লুটপাটের কারণেই জ্বালানি তেলের দাম কমানো হচ্ছে না।
জানা গেছে, বিপিসির এ অনৈতিক কাজের সঙ্গে দেশী-বিদেশী একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট জড়িত। এ চক্রের সদস্য প্রভাবশালী নেতা ও ব্যবসায়ীরা। বিশ্ববাজারে দাম কমলেও এরা নিজেদের স্বার্থে স্থানীয় বাজারে জ্বালানি মূল্য কমাতে দিচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে বিপিসির চেয়ারম্যান এম বদরুদ্দোজা বলেন, লুটপাটের বিষয়টি সঠিক নয়। গত অর্থবছরে বিপিসি সত্যিকার অর্থে লাভ করেছে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি টাকা বিপিসির কোষাগারে জমা আছে। তিনি বলেন, এখন প্রতি লিটার ডিজেল কেরোসিন আর ফার্নেস অয়েলে গড়ে ১৬-১৮ টাকা লাভ হচ্ছে। অকটেন ও পেট্রলে লাভ ২০ টাকার বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ১২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হলেও দেশে দাম কমানো হচ্ছে না কেন- এ বিষয়ে তিনি বলেন, দাম কমানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ সরকারের বিষয়। এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না বলেও জানান তিনি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গত তিন মাসে সবচেয়ে বেশি মুনাফা হয়েছে অকটেনে। এতে লাভের হার ১০৯ শতাংশ। অপরদিকে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ডিজেলে এ লাভের হার ৭৪ শতাংশ। তারা বলেন, দুর্নীতিতে আকণ্ঠ ডুবে থাকার পরও চলতি অর্থবছর শেষে বিপিসির মুনাফা দাঁড়াবে ১১ হাজার কোটি টাকা। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিপিসির ঋণ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু তা মানতে রাজি নন অর্থনীতিবিদরা।