নারায়ণগঞ্জে ৫ খুন: মামলার তদন্তভার ডিবিতে

0

সিটিনিউজবিডি : নারায়ণগঞ্জে এক পরিবারের দুই শিশুসহ পাঁচ খুনের মামলা তদন্তের ভার পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।রোববার রাতে মামলাটি পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয় বলে জানান পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন। তদন্তে সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

শনিবার রাতে শহরের দুই নম্বর বাবুরাইল এলাকায় পাঁচতলা একটি ভবনের নিচতলার ফ্ল্যাট থেকে দুই শিশুসহ পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।নিহতরা হলেন- তাসলিমা বেগম (৪০), তার ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), ভাই মোরশেদুল (২৫) ও তাসলিমার জা লামিয়া (২৫)।

নিহত তাসলিমার স্বামী শফিকুল ইসলাম রোববার সকালে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন। এরপর মামলাটি তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছিল সদর মডেল থানার এসআই হামিদুল ইসলামকে।

সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, হত্যাকাণ্ডের ৩৬ ঘণ্টা অতিবাহিত হয়েছে। এই সময়ে মধ্যে তদন্তে সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে। তবে একেবারে সুনির্দিষ্টভাবে বলার মতো সময় এখনও আসেনি।

এজন্য আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার জানান, মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হস্তান্তর করা হয়েছে।

এই মামলায় কোনো ক্লু পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে এখনও সেটি সুনির্দিষ্ট হয়নি। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উদঘাটনের চেষ্টা করছি।”

উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য বিষয়গুলোর সঙ্গে বাদীর অভিযোগগুলোও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান এসপি।

পাঁচ লাশের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাদেরকে শ্বাসরোধ ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ নিহত তাসলিমার ভাগিনা মাহফুজ ও মোরশেদের খালাত ভাইকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

নিহত তাসলিমার স্বামী শফিকুল ইসলামের করা মামলায় তার স্ত্রী তাসলিমা সুদের পাওনা টাকা নিয়ে আর্থিক বিরোধ ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী লামিয়াকে ভাগ্নে মাহফুজের যৌন আবেদনের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.