কাঠমাণ্ডুতে নেপাল-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের বৈঠক

0

অর্থবাণিজ্য ডেস্ক : নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে প্রথমবারের মতো দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ফোরামের বৈঠক বসছে। আগামী ২২ জানুয়ারি নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে অনুষ্ঠেয় ফোরামে দুদেশের মন্ত্রী, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা যোগ দেবেন।

কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিনিয়োগ টানতে কাঠমাণ্ডুর বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নেপালভিত্তিক থিংক-ট্যাংক এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল (এআইডিআইএ) এ ফোরামের আয়োজন করেছে।

এআইডিআইএ’র প্রতিষ্ঠাতা সুনীল কেসি বলেন, নেপালের নতুন সংবিধান ঘোষণার পর “নেপালিরা নানা সমস্যায় ভুগছে। আমাদের অর্থনীতি সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং আমাদের চিন্তা হল- আমদানি ও রপ্তানির এবং নেপালে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ও সেবা খাতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালকে যুক্ত হতে হবে।”

গত বছরের এপ্রিলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত নেপালে এখন পুনর্গঠনেরও বড় প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, “ভারতের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশকে পাশে পাওয়া নেপালের এখন খুব প্রয়োজন।” নেপালের ব্যবসায়ী নেতারা ছাড়াও এই ফোরামের বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রীসহ বর্তমান ও সাবেক একাধিক মন্ত্রী অংশ নেবে।

বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্টসহ বাণিজ্য সচিব ও ব্যবসায়ী নেতাদেরও অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। আয়োজকরা বলছেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে এটাকে বার্ষিক আয়োজনে রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

“দুটির দেশের মধ্যে বাণিজ্য বিষয়ে এধরণের কোনো বড় ফোরাম কাঠমাণ্ডুতে প্রথমবারের মতো বসছে। এটা ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে,” বলেন সুনীল।

এই ফোরামের কয়েকটি অধিবেশন ছাড়াও ‘বিজনেজ টু বিজনেস’ ও ‘বিজনেস টু গভর্নমেন্ট’ পর্যায়ের বৈঠকও হওয়ার কথা রয়েছে।

ফোরামের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে একটি আনুষ্ঠানিক কমিটিও গঠন করা হবে বলে জানান তিনি। নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ট কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে; হিমালয়ের পাদদেশের এ দেশ বাংলাদেশি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ।

তবে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য তেমন একটা বাড়েনি; গত বছর দুদেশের মধ্যে মাত্র ৩৮০ লাখ ডলারের বাণিজ্য হয়েছে।

এর মধ্যে বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল মটরযান চলাচল চুক্তি হওয়ায় এ অঞ্চলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে।

সুনীল বলেন, নেপাল কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিনিয়োগ খুঁজছে।

“নিজস্ব ব্যবসায়িক বৈশিষ্ট্যের কারণে বাংলাদেশ এশিয়ার ‘লজিস্টিক হাব’ হতে হবে এবং ভৌগোলিক নৈকট্যের কারণে নেপাল এ থেকে উপকৃত হতে পারে।”

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.