চট্রগ্রাম : নগরীর পাচঁলাইশ থানা পুলিশ সংঘবদ্ধ সিএনজি বেবিটেক্সি চোর চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।সেই সাথে তাদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন বিহীন আটটি চোরাই সিএনজি বেবিটেক্সি উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, মো. শাহাবুদ্দিন (২৫), মো. মনির (৪৪), আব্দুল জব্বার (৪৪), মো. শাহজাহান প্রকাশ জসিম (৪০), মো. শামসুদ্দিন (২৫) ও মো. আজাদ (৩৬)।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) তারেক আহম্মেদ।
তিনি জানান, ১৬ জানুয়ারি হতে বুধবার (২০ জানুয়ারি) রাত পর্যন্ত সীতাকুন্ড, নোয়াখালী, ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও বান্দরবানে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে আন্ত:জেলা চোর চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার ও তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ি নোয়াখালী ও বান্দরবান থেকে ৮ টি চোরাই বেবিটেক্সি উদ্ধার করা হয়েছে।
তারেক আহম্মেদ বলেন, ‘পাঁচলাইশ থানা এলাকা থেকে চুরি হওয়া একটি সিএনজি বেবীটেক্সি উদ্ধার করতে গিয়ে আমরা সংঘবদ্ধ এই আন্ত:জেলা চোর চক্রের সন্ধান পেয়েছি। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা ৮ টি চোরাই বেবিটেক্সির দাম আনুমানিক ৩৫ লাখ টাকা।’
তিনি বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে এই আন্ত:জেলা চোর চক্রে মোট ১৫ জন সদস্য রয়েছে। এরা যাত্রীবেশে বেবিটেক্সিতে উঠে পথিমধ্যে নির্জন স্থানে অস্ত্রের মুখে চালককে মারধর করে মোবাইল ফোন ও বেবিটেক্সি নিয়ে পালিয়ে যায়, পারে মালিকের কাছে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করা হয় ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিকাশে টাকা পাঠাতে বলা হয়, টাকা পাওয়ার পর তারা কারো বেবিটেক্সি ফেরত দেয়, কারো দেয় না।’
‘এভাবে তারা বেবিটেক্সি মালিকদের অনেককেই নি:স্ব করে ফেলেছে,’ বলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
পুলিশ জানিয়েছে, ভাটিয়ারি থেকে চোর চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয় গত ১৬ জানুয়ারি।এর পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে একজন, নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে আরেক সদস্য, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে একজন ও বান্দরবান থেকে আরো একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এদের মধ্যে বান্দরবানের লামা এলাকার আবু আজাদের বাড়ি থেকে ৫ টি ও নোয়াখালী বেগমগঞ্জের শামসুদ্দিনের গ্যারেজ থেকে ৩ টিসহ মোট ৮ টি সিএনজি বেবিটেক্সি উদ্ধার করা হয়।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেন, চক্রের অন্য সদস্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।