নিজস্ব প্রতিবেদক : বছর জুড়ে বইপড়া কর্মসূচিতে নিজের উৎকর্ষতার পরিচয় দেয়ার জন্য চট্টগ্রামে ৫ হাজার ৩১৬ জন ছাত্রছাত্রীকে পুরস্কার প্রদান করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোন। উৎসব আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
২২ জানুয়ারি ২০১৬খ্রি.শুক্রবার সকাল ৯টায় নগরীর চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে উৎসবের প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম নাছির উদ্দীন ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ আমন্ত্রিত অতিথিগণকে সঙ্গে নিয়ে দিনব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধন করেন।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের আওতায় ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম মহানগরীর ৮০টি স্কুলের প্রায় ১৪০০০ শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে মূল্যায়নপর্বে যারা কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে, তাদেরকে পুরস্কার প্রদানের জন্য গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় এই পুরস্কার বিতরণী উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এই উৎসবের প্রথম পর্বে বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি চট্রগ্রাম মোঃ দৌলতুজ্জামান খান,শিশু সাহিত্যিক ও টিভি ব্যক্তিত্ব আলী ইমাম, চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেজিয়া আখতার, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শরিফ মোঃ মাসুদ ও অনুষ্ঠানের স্পন্সর গ্রামীণফোনের হেড অব কর্পোরেট রেসপন্সিবিলিটি দেবাশীষ রায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আলোকিত মানুষ গড়ার আন্দোলনের প্রশংসা করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের একটি স্থায়ী দাপ্তরিক কার্যালয় বরাদ্দের ঘোষণা দেন। মেয়র নিজেকে আলোকিত ও সমৃদ্ধ করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি বই পড়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসাথে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচির সাথে সিটি করপোরেশনের চলমান সহযোগিতা অব্যাহত ও সুদৃঢ় করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
দ্বিতীয় পর্বে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম মোঃ রুহুল আমীন,সমাজ বিজ্ঞানী ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম এর উপাচার্য ড. অনুপম সেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সচিব রশিদ আহমদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিয়া শিরিন, চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি ডা: মাঈনুল ইসলাম মাহমুদ।