রামুতে জোড়া খুন: গুপ্ত হামলার শঙ্কায় গ্রামবাসীর পাহারা

0

জামাল জাহেদ, কক্সবাজারঃ কক্সবাজারের রামু উপজেলায় গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল রোয়াজা শিয়ার বর্বর ও নিষ্ঠুর জোড়া শিশু হত্যাকান্ডের পরে পলাতক ডাকাত ও অপহরকারীদের গুপ্ত হামলার আশংকায় পাহারা বসিয়েছে পুলিশের পাশাপাশি গ্রামবাসীও। আর ফুসে উঠা জনতা গত শুক্রবার ডাকাত ও অপহরণকারীর আরো পাচ বসত- বাড়ি সহ মোট পনেরটি বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেয় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত। আর রিমান্ডে আনা আট আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।এলাকার মেম্বার ফিরোজ আহমদ জানান, গত রোববার অপহরণ ঘটনার পর থেকে রোয়াজা শিযার মানুষের ঘুম হারাম হয়ে যায়।

বিশেষ করে গত মঙ্গলবারের পর থেকে পুলিশের পাশাপাশি গ্রামবাসী ও পাহারা বসিয়েছে তারা। তিনি আরো জানান, এ গ্রামে ডাকাতদের একটি অংশ আটক হলেও ডাকাতির সূত্রপাতকারীরা এখনও অধরা। তারা এলাকায় থাকলেও নানা কৌশলে জনতার চোখকে ধুলা দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। গ্রামের অনেকে আশংকা করছে এদের সহায়তায় পলাতক ডাকাতরা প্রতিশোধ নিতে এ গ্রামে প্রবেশ করে বর্বর আরো হামলা করবে কি-না ? এ জন্যে পঞ্চাশ জনের দল পালাক্রমে তাদের গ্রামে পাহারা দিচ্ছে রাত জেগে।

গর্জনিয়া পুলিশ ফাড়ির নবাগত আইসি এসআই স্টালিন বড়–য়া জানান, গ্রামের মানুষের নিরাপত্তা ও যে কোন ধরনের আশংকার কথা ভেবে উর্ধ্বতন মহলের নিদের্শে রোয়াজা শিয়া তথা বৃহত্তর বড়বিল এলাকায় পুলিশ পাহারা রয়েছে রাতে। এ ছাড়া পুরো গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়া এলাকাতে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।অপর দিকে আরো একাধিক গ্রামবাসী জানান, ডাকাত দলের মূল হোতা এক চিহ্নিত তক্ষক ব্যবসায়ী ও পুলিশের হাতে আটক রোমান এবং আরো দু’ প্রভাবশালী ভিআইপি ডাকাত সর্দারদের ঘর না ভাঙ্গায় সাধারণ মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অপর দিকে এ পর্যন্ত যে সব ডাকাতের ঘর পুড়িয়েছে এ বাড়ি গুলো হলো: আটক ডাকাত যথাক্রমে টুইল্ল্য,ইউনুছ, জাহাঙ্গির, জয়নাল আবেদীন,ভুইল্ল্যা,আমানুল হক,ছৈয়দ নূর, গুরা মিয়া,বুছাইয়া, গিয়াসুদ্দিন, পেটান আলী,মতলব,আবুলকালাম সহ পনের জনের বাড়ি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.