আন্তর্জাতিক: পাঠানকোট হামলা এবং জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নিয়ে ভারতে এ বারের প্রজাতন্ত্র দিবসকে ঘিরে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। দিল্লিসহ সারা দেশকেই মূলত ঘিরে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে।
ভারতের ৬৭তম প্রজাতন্ত্র দিবসের গ্র্যান্ড প্যারেডে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ। দিল্লিতে তিনি ভারতীয় প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে গ্র্যান্ড প্যারেড পরিদর্শন করবেন।
প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ২০জন সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ। ফলে, কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ প্রশাসন।
প্রজাতন্ত্র দিবসকে ঘিরে দিল্লিতে ২৫ হাজার পুলিশ সদস্য মাঠে নামানো হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্যারামিলিটারি সদস্যদেরও নামানো হয়েছে। ১০টি নীতিগত পয়েন্টে অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান ও হালকা মেশিনগান (এলএমজি) বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তা। সেই সঙ্গে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ১০ হাজার ট্রাফিক পুলিশকে রিভালবার ইস্যু করা হয়েছে বলেও কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে।
এছাড়া রাজপথ, এর সঙ্গে ইন্ডিয়া গেটের সংযোগকারী ম্যাজেস্টিক অ্যাভিনিউ ও ইন্ডিয়া গেট সংলগ্ন এলাকায় ৪৫টি ভবনের ওপর স্নাইপার বসানো হয়েছে। এই পুরো এলাকাসহ প্যারেড গ্রাউন্ডও কাভার করবে স্নাইপারগুলো।
দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্লেন ওঠানামার ক্ষেত্রে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩৫ মিনিট থেকে বেলা সোয়া ১২টা পর্যন্ত রাজপথ এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরটিতে ৬০টির মতো প্লেন ওঠানামা করার কথা রয়েছে। সংরক্ষিত এলাকায় বিনা অনুমতিতে যেকোনো কিছুকে উড়তে দেখলেই তা গুলি করে নামিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দিল্লির ৩১টি জনবহুল এলাকা এবং ১৩টি মেট্রো স্টেশনে বসানো হয়েছে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম। বিপদের আশঙ্কা দেখা দিলেই পুলিস কন্ট্রোল রুম থেকে এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেওয়া হবে। রাজধানীর প্রতিটি থানায় তৈরি রয়েছে জরুরি দল। সাধারণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে এই দলকে ব্যবহার করা হবে না। এ ছাড়াও নিরাপত্তার অন্যান্য রুটিন বিষয়গুলো তো রয়েছেই।
শুধুমাত্র রাজধানী নয়, প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশের সব প্রান্তেই আঁটোসাঁটো করা হয়েছে সুরক্ষা ব্যবস্থা।