ঢাকা অফিস : ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জন্য আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের ওপর জরিপ চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বোর্ড থেকে কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠানো প্রার্থী তালিকা ওই জরিপের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার সমন্বয়ক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। দ্রুতই এই জরিপের কাজ গুছিয়ে আনা হবে। এই জরিপের ওপর ভিত্তি করে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের গত শুক্রবারও প্রধানমন্ত্রীর ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে ইউপি নির্বাচন-সংক্রান্ত বিষয়ে নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, কার্যনির্বাহী সদস্য সুজিত রায় নন্দী, আমিনুল ইসলাম আমিন, এসএম কামাল হোসেন, কক্সবাজার জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ইউপি নির্বাচন নিয়ে দলের সর্বশেষ প্রস্তুতির বিষয়ে আগামীকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর ধানমণ্ডির কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। দলের তিন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাত সাংগঠনিক সম্পাদক এ বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। আগামী ২৮ মার্চ অনুষ্ঠেয় দলের জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতির জন্য বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠনের বিষয়টিও এ বৈঠকের আলোচনায় আসতে পারে। ‘বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানরা দলীয় মনোনয়নে পাওয়ার বেলায় অগ্রাধিকার পাবেন কি-না’- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জরিপের তথ্যের ভিত্তিতে জনপ্রিয় নেতাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করবে জেলা, উপজেলা এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সমন্বয়ে গঠিত তৃণমূলের মনোনয়ন বোর্ড। এই মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থী বাছাইয়ে সংকটে পড়লে কেন্দ্রীয়ভাবে সমাধান করা হবে। স্থানীয় এমপিদের মনোনয়ন বোর্ডে রাখা হয়নি।
কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা জানান, মনোনয়ন বোর্ড থেকে একজন করে প্রার্থীর নাম কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠানো হলেও তা চূড়ান্তভাবে আরেক দফায় যাচাই-বাছাই করা হবে। তৃণমূল থেকে পাঠানো নাম জরিপের তালিকায় না থাকলে সেখানে রদবদলের সম্ভাবনা থাকবে। প্রয়োজনে আরেক দফায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।